এই মুহূর্তে




গিরি অতীত, শুভেন্দুর জেলায় তৃণমূলের ব্যাটন যেতে পারে উত্তমের হাতে

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৯৯৮ সালে তৃণমূলের(TMC) প্রতিষ্ঠালগ্নে অবিভক্ত মেদিনীপুরে দলের জেলার সভাপতি ছিলেন অখিল গিরি(Akhil Giri)। পরে দলে এসে তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার সভাপতি হন শিশির অধিকারী। তারপর নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের সূত্রে জেলা তৃণমূলে অধিকারীদের উত্থান। অখিল জরুরি পদে থাকলেও অধিকারীদের ছাপিয়ে যেতে পারেননি কখনওই। শিশির আর শুভেন্দু তখন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের নিয়ন্ত্রক। অধিকারীরা বিজেপিতে যাওয়ার পরে রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি ও তাঁর ছেলে সুপ্রকাশের ওপর তৃণমূল অনেকটাই ভরসা করেছিল। বলা ভাল, জেলায় দলের ব্যাটন অধিকারীদের হাত থেকে নিয়ে গিরিদের হাতেই দিয়েছিল দল। অখিলকে মন্ত্রী করার পাশাপাশি সুপ্রকাশকে কাঁথির পুরপ্রধান ও যুব সংগঠনের জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সেই গিরি পর্ব আপাতত অতীত। আর সেই জায়গায় পূর্ব মেদিনীপুরের মাটিতে তৃণমূলের ব্যাটন যেতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিকের(Uttam Barik) হাতে। জোড়াফুলে এমনটাই ছড়িয়েছে জল্পনা।

আরও পড়ুন বাংলাদেশে অস্তিরতার আঁচ কলকাতার হোটেল আর পরিবহণের ব্যবসায়

অধিকারী ও গিরিরা পারিবারিক সম্পর্কে আবদ্ধ। কিন্তু গিরিরা কখনই অধিকারী হয়ে উঠতে পারেননি। কুকথার জেরে অখিল মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। সুপ্রকাশ পদে থাকলেও রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের অনুমান, তৃণমূলের অন্দরে তাঁর আরও বেশি উত্থানের পথ এখন রুদ্ধ হয়ে গেল। পরিবর্তে জেলার রাজনীতিতে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষমতার রাশ যেতে বসেছে উত্তমের হাতে। কেননা উত্তম শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি বা পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক নন, লোকসভা ভোটে কাঁথিতে তৃণমূলের প্রার্থীও হন তিনি। তবে না জিতলেও উত্তমের লড়াইকে কুর্নিশ জানান খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের আরেক শীর্ষ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক বেশ মসৃণ। কিন্তু এই উত্তমের সঙ্গেই কার্যত সাপে-নেউলে সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে গিরিদের। লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে হারের জন্য অখিলের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলেন উত্তম। সেই সময় থেকেই অখিল-উত্তম সংঘাত চরমে ওঠে।

আরও পড়ুন হাসিনার গদি ওল্টাতেই গঙ্গা-তিস্তা জলবন্টন চুক্তি বিশ বাঁও জলে, স্বস্তিতে মমতা

এখন অখিলের মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পরে, পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের অন্দরে উত্তমের পাল্লাই কিন্তু অনেকটাই ভারী হয়ে গেল। অনেকে তো এটাও মনে করছেন, রাজ্য মন্ত্রিসভার আসন্ন রদবদলে উত্তমের শিকে ছিঁড়তে পারে। শোনা যাচ্ছে, উত্তম মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের কাঁথি এবং তমলুক সাংগঠনিক জেলাতেও উত্তম শিবিরের নেতারাই দায়িত্ব পেতে চলেছেন। লোকসভায় জেলায় ভরাডুবির পরে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে উত্তমকে সামনে রেখেই পূর্ব মেদিনীপুরে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে শাসকদল। অখিল জানিয়েছেন, মন্ত্রিত্ব গেলেও তিনি বিধায়ক হিসেবে কাজ করবেন। আর উত্তম জানিয়েছেন, ‘আমরা কেউই কিছু নয়। চালক একজনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে যারা এদের ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁরা বাংলার রাজনীতিতে মুছে গিয়েছেন।’ আর এখানেই কার্যত উত্তম বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি অখিলের পথে হাঁটবেন না। তবে যদি কোনওদিন অধিকারীরা তৃণমূলে ফেরেন তখন কিন্তু ক্ষমতা হারানোর মুখে পড়তে পারেন এই উত্তমই।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছে ছেলে, বিচার পেয়ে পথে নামলেন কোন্ননগরে  বিক্রমের মা

৫০ হাজার টাকা না দেওয়ায় মাকে কুপিয়ে খুন, পলাতক অভিযুক্ত  ছেলে

৫০০ বছর আগে জয়নগরের বুকে মোতিলাল পরিবারে পুজোর সূচনা

তিন শতাব্দী পার করা রামপুরহাটের মণ্ডল বাড়ির পুজো

শুধু নয় সিংহ, দেবীর সঙ্গে থাকে বাঘও, দিনহাটার মুস্তাফি পরিবারের পুজোয়

আসানসোলের মিঠানিতে চক্রবর্তী বাড়ির ৪০০ বছরেরও বেশি পুরাতন পুজো

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর