নিজস্ব প্রতিনিধি, বীরভূম: ক্রমশ নিম্নমুখী ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন গ্রাফ। ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের (NAAC) সাম্প্রতিক মূল্যায়নে বি-প্লাস গ্রেড পেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগেও এই গ্রেড পেলেও এবার পয়েন্ট অনেক কমেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে অধ্যাপকদের সংগঠন ভিবিউফা। তাঁদের দাবি, এর জন্য দায়ী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
অধ্যাপকদের সংগঠনের দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের ইচ্ছামতো বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছেন। যাকে ইচ্ছা হচ্ছে তাঁকেই সাসপেন্ড করছেন। এতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পাশাপাশি উপাচার্যের বিরুদ্ধে এই সংগঠনের অভিযোগ, নিজের পছন্দের লোকজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে গিয়ে সিংহভাগ অধ্যাপকদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন। সে কারণে এই অবনমন। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৫ সালেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় NAAC-এর মূল্যায়নে B+ গ্রেড পেয়েছিল। এবার সেই সময়কার পয়েন্টও অনেক কমেছে। পাশাপাশি NIRF-এর রিপোর্টেও শিক্ষার মান কমেছে বিশ্বভারতীর।
অধ্যাপকদের সংগঠন ভিবিউফা দাবি করেছে, বিশ্বভারতীর গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ হচ্ছে না। পাশাপাশি, নিজস্ব মূল্যায়ন বৈঠকও দীর্ঘদিন বন্ধ এবং একাধিক নিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত দূর্নীতির অভিযোগ উঠছে। সবমিলিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলেই এই অবনমন। ফলে দায় তাঁকেই নিতে হবে। যদিও এবার ন্যাকের মূল্যায়নের আগে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবুও পয়েন্ট অনেক কম এল। এ নিয়ে বিশ্বভারতীর বর্তমান প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন অধ্যাপকরা।