নিজস্ব প্রতিনিধি: এই প্রথম নয়। এর আগেও বারবার বেফাঁস মন্তব্য এবং কাজ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (VISVA BHARATI UNIVERSITY) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বড় অংশের অভিযোগ, উপাচার্য রবীন্দ্র সংস্কৃতির বিরোধী। তিনি স্বেচ্ছাচারী। এর প্রতিবাদ করলেই তার শাস্তি ‘সাসপেন্ড’। এবার ‘রাবীন্দ্রিক’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তিনি। বিঁধলেন নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনকেও। আর সেই বেফাঁস মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই উঠছে সমালোচনার ঝড়।
তাঁর দাবি, অমর্ত্য সেন বেআইনি ভাবে বিশ্বভারতীর জমি দখল করে আছেন। এই অভিযোগ করে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিঠি পাঠিয়েছে নোবেলজয়ীকে। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। তাঁর প্রতিক্রিয়া, মিথ্যে অভিযোগ। উপযুক্ত জবাব দেবেন আইনজীবী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মন্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য বলে দাবি করেছিলেন নোবেলজয়ী। তাই তাঁকে নতুন করে অপদস্থ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উপাসনাগৃহ নিয়ে বলতে গিয়ে উপাচার্যের দাবি, তিনি এলেই না কি পড়ুয়ারা আসেন, না হলে কেউ আসেন না। তাই হয়ত কখনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে উপাসনাগৃহ। তিনি বলেন, ‘রাবীন্দ্রিক’ মানে শান্তিনিকেতনে জমি দখল, উপাচার্যকে গালাগালি করা, বিশ্বভারতীকে অপমান করা, অন্যায় করা। তাঁর বক্তব্য, রাবীন্দ্রিক মানেই স্বার্থ চরিতার্থ করার সিঁড়ি। তিনি বলতে চান, রাবীন্দ্রিক পরিচয়ে সকলেই ভুল করেন।
পড়ুয়াদের একাংশ বলছেন, ‘ওঁ বোঝাতে চান রাবীন্দ্রিক শব্দের মানে ওঁ একাই বোঝেন। আর বাকিরা রবীন্দ্রনাথ ঠকুরকে শ্রদ্ধা না করে স্বার্থ চরিতার্থ করেন’। সেই সঙ্গে কটাক্ষ করে বলা হয়, ‘উপাচার্য স্বেচ্ছাচারী’। পড়ুয়াদের প্রশ্ন, ‘রাবীন্দ্রিক মানে কি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া’?