এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অমর্ত্যের জমি বিতর্ক মামলা প্রত্যাহারের ভাবনা বিশ্বভারতীর

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে(Viswabharati University) বিদ্যুৎ জমানার অবসান ঘটতেই এবার বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক ও নোবেলজয়ী মানুষ অমর্ত্য সেনের(Aamrtya Sen) জমি বিতর্কও সম্ভবত শেষের দিকেই এগোচ্ছে। কেননা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই মামলা আর বেশি টেনে নিয়ে যেতে চান না। তাঁরা মামলা প্রত্যাহার করার কথা ভাবনাচিন্তা করছেন। সম্ভবত আগামী ৬ জানুয়ারি তাঁরা সিউড়ি জেলা আদালতে(Suri District Court) তা লিখিত ভাবে জানাতে পারেন। যদিও সরকারি ভাবে এখনও এই বিষয়ে তাঁরা কিছু জানাননি। মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে অন্যতম যুক্তি হিসাবে উঠে আসছে যে, এই মামলা কার্যত বিশ্বভারতীর সম্মানকেই ভূলন্ঠিত করেছে বিশ্বের দরবারে।  

অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক মামলায় গত ১১ ডিসেম্বর সিউড়ি জেলা আদালতে শুনানি ছিল। সেখানে সেদিন আদালত সরাসরি বিশ্বভারতীর কাছে প্রশ্ন রাখে যে, কীসের ভিত্তিতে জায়গা বেদখল হয়েছে বলা হচ্ছে? বিশ্বভারতীর জমি সংক্রান্ত সার্ভের রিপোর্টই(Land Related Survey Report) বা কী, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত। অমর্ত্যবাবুর আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরী সেদিন আদালতকে শুনানিকালে জানান, বাড়তি জমি দখল করে রয়েছে বলে বিশ্বভারতী যে দাবি করছে তা ঠিক নয়। কোন জায়গাটা বাড়তি দখল রয়েছে সেটাও তারা বলেনি। পাশাপাশি যেসব নথি দেওয়া হচ্ছে তাও ‘ম্যানুপুলেটেড’। তাঁর দাবি, ‘ওরা যখন বলছে লিজ দেওয়া হয়েছে তাহলে বেআইনি দখল করলাম কীভাবে? ওরা জরিপ করে দেখান কোন জায়গাটা বেআইনিভাবে দখল করা হয়েছে। আমরা আমাদের যাবতীয় তথ্য আদালতের সামনে রেখেছি। এরপর পরবর্তী দিন ওরা যা বলার বলবে।’ যদিও বিশ্বভারতীর তরফ থেকে এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।  

তবে সেদিন আদালত জানিয়ে দিয়েছে, কীভাবে সার্ভে হয়েছিল, কোন পদ্ধতি মেনে সার্ভে হয়, নোটিস দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত প্রক্রিয়াটি কী তা পরবর্তী শুনানির দিন অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি বিশ্বভারতীর আইনজীবীকে জানাতে নির্দেশ দেন বিচারক। কীসের ভিত্তিতে জায়গা বেদখল হয়েছে বলা হচ্ছে তা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে নির্দেশ দেন তিনি। শান্তিনিকেতনের অমর্ত্য সেনের প্রতীচী(Pratichi) বাড়ির জমি নিয়ে বিতর্ক বহু বছরের। বিশ্বভারতী দাবি করে, অমর্ত্য সেন ১৩ শতক জমি জবরদখল করে বসবাস করছেন। তাঁর লিজ নেওয়া জমির পরিমাণ ১.২৫ একর। কিন্তু তিনি ১.৩৮ একর জমি দখল করে রেখেছেন। এরপর সেই ‘বাড়তি’ ব্যবহৃত জমি খালি করার নোটিস টাঙানো হয় প্রতীচী বাড়ির সামনে। গত ১৯ এপ্রিল একেবারে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হুঁশিয়ারি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ স্থগিত থাকে। এখন সেই মামলায় সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারধীন। ফের ৬ জানুয়ারি মামলাটির পরবর্তী শুনানি দিন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দাদাগিরি! মেজাজ হারিয়ে মহকুমা শাসককে ধাক্কা রাহুল সিনহার

‘সন্দেশখালির ঘটনা পুরোটাই বানান’, বিজেপিকে তোপ অভিষেকের

বঙ্গে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে ঘনিয়ে আসছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সর্তকতা জারি

শান্তনুকে হারাতে মতুয়াদের ওপরেই আস্থা সুমিতার

দাবদাহের মধ্যে ফসল বাঁচানোর অক্লান্ত প্রচেষ্টা মাঠ ঘাটের চাষীদের

‘মতুয়াদের ঠকিয়ে চলেছে বিজেপি, চাকদা থেকে মমতার বার্তা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর