নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswabharati University) অচলাবস্থা কাটছে না কিছুতেই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা যে রায় দেন তা পালনের জন্য নির্দিষ্ট একটি সময়সীমাও জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে পুলিশ(Police) প্রশাসন সেই নির্দেশ মানলেও তা মানছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বিশ্বভারতীর প্রধান কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। খোলা হয়নি হোস্টেল(Hostel)। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও জট কাটল না বিশ্বভারতীর। অচলাবস্থা তাই এখনও জারি সেখানে। চলছে পড়ুয়াদের আন্দোলনও(Students Agitation)। কিন্তু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন কলকাতা হাইকোর্টের রায় মেনে নিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর তোড়জোড় করছে। তাই না খোলা হয়েছে হোস্টেল না খোলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। সর্বত্রই ঝুলছে তালা। কার্যত এদিনের ঘটনার জেরে এবার বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্যর অভিযোগও উঠে গেল।
মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা নির্দেশ দেন, অবিলম্বে বিশ্বভারতী হোস্টেল খুলতে হবে। আগামী ১১ মার্চ বিশ্বভারতীতে সেমিস্টার। তার আগেই পড়ুয়ারা যাতে হস্টেলে ফিরতে পারে, তার ব্যবস্থা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে দেন, বিশ্বভারতীতে সেমিস্টারের পরীক্ষা যাতে সঠিকভাবে ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়, সেই বিষয়টির দায়িত্ব নিতে হবে জেলা পুলিশ প্রশাসনকে। দুটি গেটে পুলিশ থাকবে, যাঁরা দেখবেন বহিরাগতরা যেন ভিতরে না ঢুকতে পারে। কিন্তু এই স্পষ্ট নির্দেশের পরেও বুধবার দেখা গেল, বেলা দশটা পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রধান কার্যালয়ের গেটে তালা খোলার কোনও উদ্যোগই নেয়নি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিন বিশ্বভারতীর কর্মী, অফিসাররাও প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন। কিন্তু তালা বন্ধ থাকায় তাঁরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিসবাহিনী। সেই সঙ্গে চলছে পড়ুয়াদের আন্দোলনও।