এই মুহূর্তে




‘আমরা কোনও বনধ সমর্থন করি না, পাহাড়ে সমস্যা তৈরি করছে একটি রাজনৈতিক দল’, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের(North Bengal) বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বিকেলে সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সোমবার দুপুরেই বাগডোগরা(Bagdogra) হয়ে কলকাতা ফিরেছেন। তাঁর এই ঝটিকা সফরের মাঝেই পাহাড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চা শ্রমিক সংগঠনগুলি। তার জেরেই সকাল থেকে স্তব্ধ দার্জিলিং। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবরও মিলেছে। প্রসঙ্গত পাহাড়ের এমন থমথমে ছবি প্রায় ৮ বছর পর। এই পরিস্থিতি বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই বনধের(Strike in Hill) দায় নাম না করেই বিজেপির ঘাড়ে ফেলে দিয়েছেন। তবে সমস্যা যে দ্রুত মিটে যাবে সেই বার্তাও দিয়েছেন। ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে চা শ্রমিকদের ৮টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। যদিও সোমবার দুপুর পর্যন্ত দার্জিলিং শহরে বনধের কোনও প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। দোকানপাট খোলাই রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। বনধ সমর্থনকারীরা জোর করে দোকান বন্ধ করানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। কার্শিয়াং শহরেও পর্যটকদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন বনধ সমর্থনকারীরা। পুলিশ গিয়ে তাঁদেরও রাস্তা থেকে হটিয়ে দেয়। কালিম্পঙ জেলাতেও বন্‌ধের দৃশ্যত কোনও প্রভাব পড়েনি।     

আরও পড়ুন, দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যা প্রকাশের মঞ্চ থেকেই কর্মীদের বার্তা দেবেন মমতা

এদিন পাহাড়ের এই বনধ প্রসঙ্গে বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোথাও কোনও বনধ হচ্ছে না। বাংলায় বনধ হয় না। আমরা কোনও বনধ সমর্থন করি না। এটা রাজনৈতিকভাবে অশান্তি করার চেষ্টা। তরাই-ডুয়ার্সের কেউ কেউ রাজনৈতিকভাবে পাহাড়কে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর বোনাসের বিষয়টা লেবার কমিশন দেখছে, ওরা যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। আমরা হস্তক্ষেপ করব না। তরাই-ডুয়ার্সে বোনাস হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র পাহাড়ের ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি করছে একটি রাজনৈতিক দল। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চলছে। আশা করি সেখানে সমাধান বেরিয়ে আসবে। সরকার কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করবে না।’ চা শ্রমিক সংগঠনগুলির বক্তব্য, রবিবার তাঁরা চা বাগানের মালিকপক্ষগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকে সদর্থক কিছুই মেলেনি। তাঁরা মালিকপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, শ্রমিকদের যাতে অন্তত ২০ শতাংশ বোনাস(Bonus Issue) দেওয়া হয়। কিন্তু সেই দাবিতে মালিকপক্ষ মান্যতা দেয়নি বলেই অভিযোগ শ্রমিক সংগঠনগুলির।

আরও পড়ুন, পোর্টালে রয়েছে নাম, অথচ স্কুলে নেই অস্তিত্ব, সবুজসাথীর সাইকেল বিলি নিয়ে কড়া রাজ্য

পরে অবশ্য তাঁদের জানানো হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কিন্তু এই আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন শ্রমিকেরা। এই অবস্থায় রবিবারই চা শ্রমিকদের আটটি সংগঠন মিলিত ভাবে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। জিটিএ-র ক্ষমতাসীন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজিপিএম)-ও চা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যদিও সোমবার সকাল থেকে চা শ্রমিকদের ডাকা বন্‌ধে দৃশ্যত তেমন প্রভাব পড়েনি কালিম্পং জেলায়। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত অশান্তিও হচ্ছে। রোহিনী, কার্শিয়াংয়ে রাস্তায় বসে অবরোধ করেছেন চা শ্রমিকরা। গাড়ি আটকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ যদিও পাহাড়ের জনজীবন সচল রাখতে সক্রিয়। তারই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিলেন ধর্মঘট নিয়ে। এখন কার্যত চা শ্রমিকদের ২০ শতাংশের দাবি বনাম মালিকদের ১৩ শতাংশের দাবি নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে যার জেরে ধাক্কা খাচ্ছে পর্যটন শিল্প। ভোগান্তির মুখে পড়েছেন পর্যটকেরা। ১৩ শতাংশ হারেই পুজোর বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে অনড় মালিকপক্ষ। আর শ্রমিকদের দাবি, ২০ শতাংশ হারে বোনাস দিতে হবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শক্তিগড়ে পথ দুর্ঘটনার বলি চিকিৎসকের স্ত্রী ও মেয়ে

সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে গভীর নিম্মচাপ, ভাসবে গোটা বাংলা

অনশন আন্দোলনের জেরে ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের একাংশও, ট্যুইট কুণালেরও

সন্ধিপুজোর আগেই  আকাশছোঁয়া পদ্মের দাম, মাথায় হাত আয়োজকদের

Durga Pujo: সম্প্রীতির নজির গড়ল নানুর, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামে চলছে দুর্গা পুজো

পুজোর আনন্দ উধাও, সব হারিয়ে দিন কাটছে খোলা আকাশের নীচে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর