নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৮ জুলাই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোট এক দফায় হবে বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে চলছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পালা। তবে পঞ্চায়েত ভোটে কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন আর কারা পারবেন না তা নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সিভিক ভলান্টিয়ার, এমআর ডিলার থেকে শুরু করে ১৮ ধরণের কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এই তালিকায় রয়েছে পঞ্চায়েত ট্যাক্স কালেক্টর, পঞ্চায়েতি রাজ ইনস্টিটিউশনের চুক্তিভিত্তিক কর্মী, এমআর ডিলার, হোমগার্ড, সিভিক ভলান্টিয়ার, গ্রাম রোজগার সেবক, ভিলেজ লেভেল এন্টারপ্রেনার (ভিএলই), স্কিলড টেকনিক্যাল পার্সন, শিক্ষাবন্ধু এবং এএনএম-১ ও ২ কর্মীরাও আছেন। এছাড়াও ইয়ুথ ভলান্টিয়ার, ব্লক লেভেল ফেসিলিটেটর, বিএমওএইচের অধীনে কর্মরত চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত চিকিৎসক, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে কর্মরত কর্মী, গ্রাম পঞ্চায়েতে অ্যাকাউন্টস অ্যাসিস্ট্যান্ট, চুক্তি ভিত্তিক গ্রুপ-ডি কর্মী, ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে কর্মরত ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা কোনও অবস্থায় প্রার্থী হতে পারবেন না।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটে কারা প্রার্থী হতে পারবেন তার তালিকাও নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, চাইল্ড এডুকেশন সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর, চাইল্ড লেবার স্কুলের ইনস্ট্রাকটার, কমিউনিটি হেলথ গাইড, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা, আশা কর্মী, প্রাইমারি ও হাইস্কুলের শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের কাজ করা ঠিকাদার, পিডব্লুডি বা রাজ্য সরকারের অন্য দফতরের ঠিকাদার, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মী, এমনকী ঋণ খেলাপীরাও পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন। এসএসকে এবং এমএসকে প্রতিষ্ঠানের কর্মী, কলেজের স্থায়ী এবং অস্থায়ী শিক্ষক, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার, গ্রাম পঞ্চায়েত রিসোর্স পার্সন, মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কর্মী, কমিউনিটি সার্ভিস প্রোভাইডার বা সিএসপি, এমজিনারেগা’এর অধীনে সুপারভাইজার বা ফুট টেকনিশিয়ান, আনন্দধারা’এর অধীনে অফিস বিয়ারারও পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারবেন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩১৭। ২২টি জেলা পরিষদে আসন সংখ্যা ৯২৮টা, পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন নয় হাজার ৭৩০ এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ৬৩ হাজার ২২৯টি।