এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রবি সন্ধ্যাতেই অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে ‘অশনি’

নিজস্ব প্রতিনিধি: শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’(Ashani) রবিবার সন্ধ্যার মধ্যেই পরিণত হতে চলেছে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে(Severe Cyclone)। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় রবি দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘আপাতত উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে অন্ধ্র ওড়িশার উপকূলের দিকেই এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামী ১০ মে সন্ধ্যায় সে এসে হাজির হবে অন্ধ্র ওড়িশার উপকূলের খুব কাছে। রবিবার দুপুরে সেই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান  বঙ্গোপসাগরের(Bay of Bengal) ওপর বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৪০ কিমি দূরে ও পুরী থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে। এদিন রাত থেকেই সে দ্রুত গতিতে এগোতে শুরু করবে। ১০ তারিখ রাতেই সে বাঁক নেবে উত্তর-পূর্ব দিকে। তারপর ওড়িশা উপকূলের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবেই এগোবে। এখনও পর্যন্ত মনে হচ্ছে না তার কোথাও ল্যান্ডফল হবে। তবে স্থল্ভাগের খুব কাছে চলে আসার জেরে অন্ধ্রপ্রদেশ(Andhra Pradesh) ও ওড়িশার(Odisha) উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে  ভারী থেকে ওতি ভারী বৃষ্টি হবে। এ রাজ্যেও(Bengal) দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হবে। বাকি দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।’ 

আবহাওয়াবিদদের দাবি, আগামী ১০ তারিখ থেকেই বাংলার উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। ১১ ও ১২ মে ওই দুই জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ১০ থেকে ১২ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে বলে দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ অবশি সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান। আগামী কয়েকদিন দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো পর্যটকপূর্ণ রাজ্যের সৈকতগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে যাতে কোনও পর্যটক সমুদ্রে না নামেন। বিশেষ করে ১০ থেকে ১২ মে পর্যটকদের ওপর এই ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি চালানো হবে। মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। ১১ এবং ১২মে উপকূলবর্তী তিন জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪পরগনায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া বাকি সব জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।  

ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর হয়ে উঠেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঝড়খালি কোস্টাল থানা ও গোসাবা ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে সচেতন প্রচার। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের এবং সমুদ্রে বা নদীতে মৎস্যজীবীদের সচেতন করা হচ্ছে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে এবং দ্রুত ঘরে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ক্যানিং মহকুমা শাসকের দফতরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ২৪ ঘন্টা সেখান থেকেও নজরদারি চালানো হচ্ছে এলাকাতে। একইসঙ্গে জলোচ্ছ্বাস নিয়ে সতর্ক থাকছে প্রশাসন। ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’র ধাক্কায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের ধারনা ঝোড়ো হওয়ার কাঁধে ভর করে জলোচ্ছ্বাসে জেরে এবার প্লাবন হওয়ার সম্ভাবনা কম। কেননা ‘অশনি’র প্রকোপ কেটে যাওয়ার পরে কোটাল আছে। এবারে কোটালের সময় ১৩-১৯ মে। তার মধ্যে ১৭ তারিখ সর্বোচ্চ জলোচ্ছ্বাস হতে পারে, ৫.৬৫ মিটার। আর ১২ তারিখই ‘অশনি’ সাগরে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ফলে ঝোড়ো হাওয়ার জেরে বাঁধ টপকে জল ঢোকার সম্ভাবনা অনেকটা কম। তবে আবহাওয়াবিদদের অনুমান, বুধবারের পর ‘অশনি’ ক্রমশ সমুদ্রের গভীরে শক্তি ক্ষয় করতে পারে। তাই বুধবার পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগের আছড়ে পড়ার কোন সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ডেঙ্গির নয়া ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেন থ্রি’ , রাজ্য জুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ

১০০ টাকা ঘুষ দিয়ে বাংলার মহিলাদের অপমানিত করা হচ্ছে,  শাহকে কটাক্ষ ডেরেকের

নির্বাচন শেষে রাজনৈতিক দলের ব্যানার পোস্টার খুলতে ব্যস্ত কর্মীরা

হলদিয়াতে ভোট প্রচারে গিয়ে বিয়ের সম্বন্ধর প্রস্তাব পেলেন দেবাংশু , কিন্তু এখনই বিয়েতে নারাজ

কৃষ্ণনগরে স্ট্রং রুমের নজরদারিতে ঢিলে ঢালা ভাব, আসানসোলে বজ্র আঁটুনি

নামখানা এলাকায় নদী বাঁধে বড় ফাটল, বাঁধ তৈরীর নামে দুর্নীতির অভিযোগ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর