নিজস্ব প্রতিনিধি: দু’দিন আগেই শেয়ার বাজার ছন্দে ফেরে। উর্দ্ধমুখী হয় শেয়ার বাজার। কিন্তু ফের সেই ধাক্কা কাটানোর আগে ফের সূচক পড়ে গেল শেয়ার বাজারে। সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে বাজার বন্ধ হওয়ার আগেই বড়সড় ধস নামল শেয়ার বাজারে। আন্তজার্তিক বাজারে বিরাট বিপর্যয়ের জেরেই এই ল্যান্ডস্লাইড বলাই যায়। গত বুধবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ৬৫৭ পয়েন্ট বাড়ে। বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স দাঁড়ায় ৫৮ হাজার ৪৬৫ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে। পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী নিফটি ৫০-ও। ১৯৭ সূচক বেড়ে ১৭ হাজার ৪৬৩ দশমিক ৮০ পয়েন্ট নিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু শুক্রবার বড়সড় ধস নেমে বিপর্যয় নেমে এসেছে শেয়ার বাজারে। শুক্রবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সেনসেক্স ৫০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে গিয়েছিল এবং অল্প সময়ের মধ্যে এটি প্রায় ১০০০ পয়েন্ট পড়ে যায়। নিফটির অবস্থাও খারাপ। ১৭৩২১-এ পৌঁছে গিয়েছিল নিফটি।
শুক্রবার এই সূচকের পতন হওয়ায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে জোম্যাটোর শেয়ারে। প্রায় ৬ শতাংশ দর কমে হু হু করে পতন হয়েছে জোম্যাটোর শেয়ারে। যাতে চিন্তা শুরু হয়েছে জোম্যাটোর মালিকের। SGX নিফটির প্রায় ১ শতাংশ পতন ইঙ্গিত দিচ্ছিল শুক্রবার বাজার খারাপ যেতে পারে। সকাল ১১ টা পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হল শেয়ার বাজারে। দিনের শুরুতেই বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সেনসেক্স প্রায় ৪৮০ পয়েন্ট নীচে ছিলই। বাজার খোলার পরপরেই তা আরও নীচের দিকে চলে যায়। নিফটিও প্রায় ১৭,৩২০-এর কাছাকাছি রয়েছে। গত বছর আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে সীমায় পৌঁছেছে এই তথ্য জানার পরেই অনেকে আশঙ্কা করেন ফেডারেল রিজার্ভ শিগগিরই সুদের হার বাড়াতে পারে। আর সেই আশঙ্কা থেকেই ওই কোম্পানির শেয়ার বিক্রি শুরু হয়ে যায় তাতে বাজারের পতন দেখা গিয়েছে।