নিজস্ব প্রতিনিধি: রেলের সহযোগী সংস্থা IRCTC ঢাকঢোল পিটিয়ে চালু করেছে বিলাসবহুল রামায়ণ এক্সপ্রেস। তাতে দুটি রেস্টুরেন্ট কামরা রয়েছে যেখানে পর্যটকদের খাবার পরিবেশন করা হয়। এই রেস্টুরেন্ট কারের ওয়েটারদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। যেহেতু ধর্মীয় পর্যটন ট্রেন রামায়ণ এক্সপ্রেস, সেহেতু ওয়েটারদের পোশাকের রঙ রাখা হয়েছিল গেরুয়া। পাশাপাশি ওয়েটারদের গলায় ছিল রুদ্রাক্ষের মালা। এই পোশাক নিয়েই আপত্তি করেন মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর সাধুরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, খাবার পরিবেশনকারী রেলকর্মীদের ওই পোশাক পরিয়ে হিন্দু ধর্মের অপমান করা হয়েছে। অবিলম্বে ওই পোশাক প্রত্যাহার না করা হলে তাঁরা ট্রেনটি আটকে দেবেন। সাধু সন্তদের কড়া হুঁশিয়ারিতে পিছিয়ে আসে রেল কর্তৃপক্ষ। দ্রুতই ওই পোশাক পরিবর্তন করে দেয় আইআরসিটিসি। ভারতীয় রেল জানিয়েছে, রামায়ণ এক্সপ্রেসের পরিষেবা-কর্মীরা এখন থেকে স্বাভাবিক শার্ট ও ট্রাউজার পরবে। মাথায় থাকবে ঐতিহ্যবাহী গেরুয়া পাগড়ি। তবে তারা গেরুয়া গ্লাভস ও গেরুয়া মাস্ক যথারীতি পরবেন।
ভারতীয় রেল ওই বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, ‘সকলকে জানানো হচ্ছে যে পরিষেবা-কর্মীদের পোশাক পুরোপুরি পরিবর্তন করে পেশাদার পোশাক করে দেওয়া হয়েছে। কারও কোনো অসুবিধা হলে আমরা দুঃখিত’। এর আগে, উজ্জৈন (উজ্জয়িনী) আখাড়ার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অবদেশপুরী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছিলেন, রামায়ণ এক্সপ্রেসের ওয়েটাররা গেরুয়া পোশাক পরে খাবার পরিবেশন করছেন, এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আমরা রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম। গেরুয়া পোশাক পরে, সাধুদের মতো পাগড়ি বেঁধে, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পরে খাবার পরিবেশন হিন্দু ধর্ম ও সাধুদের প্রতি অপমান। এরপরই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল করে রেল কর্তৃপক্ষ। রাতারাতি পরিবর্তন করে দেওয়া হয় রামায়ণ এক্সপ্রেসের ওয়েটারদের ইউনিফর্ম। বিশেষ এই পর্যটক স্পেশাল ট্রেনটি শ্রী রামের পথ ধরে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে ঘুরিয়ে দেখাবে পর্যটকদের। ১৭ দিনের এই ট্যুরে পর্যটকদের ট্রেনেই রান্নাকরা খাবার পরিবেশন করছে আইআরসিটিসি। রামায়ণ এক্সপ্রেসের প্রথম যাত্রা এখন শেষের পথে। পরবর্তী যাত্রা ডিসেম্বর মাসে হবে বলে জানিয়েছে আইআরসিটিসি।