নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মানবমস্তিষ্কে পরীক্ষামূলক চিপ বসানোর পথে আরও একধাপ এগোল এলন মাস্কের ব্রেইন চিপ স্টার্ট আপ নিউরালিঙ্ক। ট্রায়ালের জন্য অংশগ্রহণকারীদের খুঁজতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করল নিউরালিঙ্ক। সার্ভিক্যাল স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি বা অ্যামিয়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিসের কারণে পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীরা এই গবেষণার জন্য যোগ্য হবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ঠিক কতজনের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এই পরীক্ষা শেষ করতে প্রায় ছয় বছর সময় লাগবে।
সাতজন বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে নিউরোটেকনোলজি কোম্পানি চালু হয়। মে মাসে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইউএসএফডিএ) ট্রায়ালের জন্য সংস্থাটিকে অনুমোদন দেয়।
নিউরালিঙ্কের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়েছে, গবেষণায় রোবট ব্যবহার করে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিএল) মস্তিষ্কের যে অংশ মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়ার অভিপ্রায়কে নিয়ন্ত্রণ করে, সে অংশে বসানো হবে। এই গবেষণার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে,পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের চিন্তাশক্তির মাধ্যমে তাদের কম্পিউটার কার্সার বা কিবোর্ড নিয়ন্ত্রণে সক্ষম করে তোলা।গবেষণাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রাইম’ (প্রিসাইজ রোবটিক্যালি ইমপ্লান্টেড ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস)।
মস্তিষ্কে ডিভাইস বসানোর এই গবেষণার জন্য নিউরালিঙ্ক ১০ জন রোগীর অনুমোদন চায়। তবে নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করে রোগীর সংখ্যা কমানোর প্রস্তাব দেয় এফডিএ। এলন মাস্ক এই বিষয়ে বলেছেন, স্থূলতা, অটিজম, বিষণ্নতা ও সিজোফ্রোনিয়ার মতো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে দ্রুত অস্ত্রোপচারের এই চিপ ডিভাইসগুলো সহায়তা করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি বিসিআই ডিভাইস মানুষের ওপর ব্যবহার নিরাপদ বলে প্রমাণিতও হয়, তা সত্ত্বেও এটি ব্যবহারের ছাড়পত্র পেতে সম্ভবত এক দশকেরও বেশি সময় প্রয়োজন হবে।