নিজস্ব প্রতিনিধি: নারদা-সারদা, বকটুই-হাঁসখালি, কয়লা-গরু, ঝালদা-এসএসসি, তালিকাটা করতে বসলে ছোটখাটো মুদির ফর্দ হয়ে যাবে। কিন্তু এটা সত্যি, বাংলায় এখন অসংখ্য ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় দুই গোয়েন্দা সংস্থা ইডি(ED) ও সিবিআই(CBI)। শুধু তদন্ত করাই নয় থেকে থেকেই এই দুই সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) নেতা, নেতার দেহরক্ষী, আপ্ত সহায়ক, সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী মায় দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক ও তাঁর স্ত্রীকেও। আর যখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটে তখনই তৃণমূলকে চেপে ধরে বিরোধীরা। আবার তৃণমূলও এই সব ডাকাডাকিকে কার্যত বিজেপির ষড়যন্ত্র বলেই তুলে ধরে। কিন্তু এই সব ঘটনা যে তৃণমূলের গতিরোধ করতে পারবে না, কারওর মনে ভয় ধরাতে পারবে না সেটাই একুশে জুলাইয়ের(21 July) মঞ্চ থেকে পরিষ্কার করে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
এদিন মমতা বলেন, ‘দেশের জন্য আমরা আছি। দেশের প্রয়োজনে সবসময় আছি। ওরা লড়াই করতে জানে না, আমরা জানি। আমাদের মেরুদণ্ড সোজা, ওদের বাঁকা। আমরা মাথা উঁচু করে চলি। ওদের মেরুদণ্ডের একদিকে ইডি, আরেক দিকে সিবিআই। ওসব দেখিয়ে আমাদের ভয় পাওয়ানো যাবে না। ভোট না দিলে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি, বলছে ইডি লাগিয়ে দেব। সিবিআই ডাকলেও সাহস করে লড়ব। দেশের জন্য আমরা আছি। দেশের প্রয়োজনে সবসময় আছি। কিন্তু ইডি, সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখিও না। আমি চাইলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির ভোট নিয়ে নিতে পারতাম। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় নরেশকে ফোন করেছিল গদ্দাররা। বলছে যে বিজেপির হয়ে ভোট না দিলে ইডি পাঠাবে। সিবিআই-ইডি-আয়কর দপ্তরের কর্মীরা এলে ভয় পাবেন না। সামনে আসন পেতে দেবেন। সামনে একটা সিলিন্ডার রেখে দেবেন। থালায় করে মুড়ি খেতে দেবেন। সঙ্গে একটু তেল দেবেন। বলে দেবেন, এর জিএসটি নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। আমাকে ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা কোরো না। আমি ওসব ভয় পাই না। যারা ডরপোক, তারা ভয় পায়।’