নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়া পুরনিগমের(Howrah Municipal Corporation) ভোট নিয়ে আবারও নয়া পথে হাঁটা দিল রাজ্য সরকার(State Government)। বালিকে হাওড়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সন্মতি না মেলায় এবার ভিন্ন পথেই হাঁটছে নবান্ন। ঠিক করা হয়েছে, হাওড়া ও বালি(Bally) মিলিয়ে যে ৬৬টি ওয়ার্ড ছিল, সেই সংখ্যক ওয়ার্ড বজায় রেখেই হাওড়ায় নতুন করে ওয়ার্ডের পুনর্বিন্যাস(Delimitation) ঘটানো হবে। সেক্ষেত্রে আর নতুন করে রাজ্যপালের সন্মতি নিতে হবে না। সেই ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ হলে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাওড়া পুরনিগমে ভোট(Election) করাতে এগোবে। আর এই নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হয়ে গেল যে বালি পৃথক পুরসভা হচ্ছে। তবে সেই পুরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা কত হবে তা পরিষ্কার নয়।
বালি আগে পৃথক পুরসভাই ছিল। ২০১৫ সালে রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিল পাশ করে তাকে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। সেই সময় হাওড়া পুরনিগমে ওয়ার্ড সংখ্যা ছিল ৫০। পরে বালির ৩৫টি ওয়ার্ডকে ভেঙে ১৬টি ওয়ার্ড গড়ে তা হাওড়া পুরনিগমে যুক্ত করে দেওয়ায় হাওড়া পুরনিগমে মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৬। কিন্তু গত বছর রাজ্য সরকার ফের বালিকে আলাদা পুরসভা হিসাবে গড়ে তোলার বিল পাশ করায় রাজ্য বিধানসভায়। কিন্তু সেই বিলে সন্মতি মেলেনি রাজ্যপালের। দীর্ঘদিন ধরে সেই বিল ঝুলে থাকায় এবার রাজ্য সরকার হাওড়া পুরনিগমের মূল ৫০টি ওয়ার্ডকে ভেঙে ৬৬টি ওয়ার্ড করতে চলেছে। ফলে বালি আর হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত থাকছে না। বালি আলাদা পুরসভা হচ্ছে। তবে তার ওয়ার্ড সংখ্যা আগের মতো ৩৫ হবে নাকি আরও বাড়বে বা কমবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে উত্তর হাওড়া, মধ্য হাওড়া, শিবপুর ও দক্ষিণ হাওড়া জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মূল পুরনিগমের এলাকায় যে ৫০টি ওয়ার্ড ছিল তা বেড়ে এবার ৬৬ হতে চলেছে। চলতি বছরেই এই ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের কাজ সেরে ফেলা হবে।
অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রে খবর মিলেছে, এখনই না হলেও আগামী এক দেড় দশকের মধ্যে হাওড়া ও বালি এলাকায় দুটি পৃথক পৃথক পুরনিগম গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। একটি হবে হাওড়া-বালি পুরনিগম ও অন্যটি হবে হাওড়া-শিবপুর পুরনিগম। উত্তর হাওড়া ও বালি এলাকার সঙ্গে কিছু পঞ্চায়েত এলাকা যুক্ত করে এই পুরনিগম গড়ে তোলা হবে। আর হাওড়া পুরনিগমের বাকি অংশ নিয়ে অর্থাৎ মধ্য হাওড়া, শিবপুর ও দক্ষিণ হাওড়ার এলাকা নিয়ে হাওড়া-শিবপুর পুরনিগম গড়ে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে ওই পুরনিগমে কিছু পঞ্চায়েত এলাকাও ঢোকানো হতে পারে।