নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বামীর মৃত্যুর পরে সেই চাকরি পেয়েছিলেন স্ত্রী। তবে দায়িত্ব নেননি শাশুড়ির। অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার পরেই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন স্ত্রী। শাশুড়ি রয়েছেন একাই। দীর্ঘ ৩ বছর বৌমার জন্য অপেক্ষা করে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বৃদ্ধা। এরপরেই বিচারপতি তলব করলেন ওই মহিলাকে।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের (KOLKATA HIGH COURT) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। শুনানির সময় বিচারপতির নির্দেশ, হাজিরা দিতে হবে ওই মহিলাকে। তাঁকে পেশ করানোর দায়িত্ব দিলেন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকারিককে। বাদী ও বিবাদীর বাড়ি সবং থানা অঞ্চলে।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রয়াত হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা প্রাথমিক শিক্ষক ব্রজদুলাল মণ্ডল। তাঁর মৃত্যুর পরে প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা পাত্র মণ্ডল। জানা গিয়েছে, চাকরি নেওয়ার সময় কৃষ্ণা হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন, শাশুড়ি দুর্গাবালা মণ্ডলের দেখভালের দায়িত্ব নেবেন তিনি। অভিযোগ, প্রথম মাসে ৭ হাজার টাকা দিলেও তারপর থেকে সেসব কিছুই করেননি তিনি। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পরে ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধা। এদিন কৃষ্ণাকে তলব করার পাশাপাশি বিচারকের নির্দেশ, বেতনের একটি নির্দিষ্ট অংশ দুর্গাবালাকে দেবেন কৃষ্ণা।