আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হিজাব বিতর্কে তপ্ত ইরানে বিক্ষোভের রাশ টানতে সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়ালেন তেসলাকর্তা এলন। ইরানবাসীকে নেট পরিষেবা পাইয়ে দিতে সে দেশে বসালেন স্টারলিঙ্ক সার্ভিস। তেসলা কর্তা শুক্রবার জানিয়েছিলেন ইরানের ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে তিনি সে দেশে স্টারলিঙ্ক বসাবেন। প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সে দেশে হিজাব-বিরোধী আন্দোলনকারীরা তেসলা-কর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
ইরানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যদিও তাতে বিক্ষোভ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়। গুলিতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫। গুলি-কাণ্ডে হাসপাতালে ভর্তি আরও কয়েকজন। তাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের আঘাত গুরুতর। ফলে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রাথমিক খবরে সরকারের তরফে মৃতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ১৭। যদিও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি।
এদিকে, শুক্রবার হিজাব-পরিধানের স্বপক্ষে তেহরানে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। যদিও সেই মিছিলের আয়োজন কে বা কারা করেছে, সে বিষয়ে সুষ্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। মিছিল হয়েছে আহভাজ, ইসফাহান, কোম এবং তাব্রিজেও। তবে মিছিল ঘিরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, যার গ্রেফতার ও পুলিশ লকআপে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তেতে উঠেছে ইরান, সেই মাশা আমিনির ওপর পুলিশ অত্যাচার চালায়নি বলে দাবি করেছেন ইরানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি।
