নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার দীপাবলিতে গোবরের তৈরী প্রদীপে আলোকিত হবে জলপাইগুড়ি। তাই নাওয়া খাওয়া ভুলে প্রদীপ তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষেরা। সামনেই দীপাবলী। মাটির প্রদীপকে টেক্কা দিতে জলপাইগুড়ি শহরে এই প্রথম গোবর দিয়ে প্রদীপ তৈরী করছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মহিলা ও পুরুষেরা। বিভিন্ন রঙের আধুনিক নকশায় তৈরি হচ্ছে গোবরের প্রদীপ।
আগামী শুক্রবার থেকে মিলবে খোলা বাজারে। জলপাইগুড়ি পুরসভার সেনপাড়ার স্বপ্নতোরণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সদস্য-সদস্যরা জোর কদমে তৈরি করছেন গোবরের প্রদীপ এবং এই কাজের জন্য তারা মূল উপাদান হিসেবে ব্যবহার করছে ঘুটে। যেভাবে তৈরী হচ্ছে এই পরিবেশবান্ধব প্রদীপ-ঘুটে কিনে নিয়ে তাকে গুড়ো করে প্রথমে প্রদীপ তৈরীর মাটি মাখার মতো মেখে নেওয়া হচ্ছে। এরপর তাতে মেশানো হচ্ছে আঠা, গো চনা, ঘি সহ অন্যান্য জিনিস। এরপর আধুনিক নকশা করার মেশিনের মাধ্যমে চলছে প্রদীপ তৈরি।
স্বপ্ন তোরণ সংগঠনের সম্পাদক দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, তারা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের স্বনির্ভর করার কাজ করে থাকেন। এর আগে তাদের সদস্য কয়েকজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মহিলারা গোবরের ধূপকাঠি বানিয়ে অনেকটাই সাফল্য হওয়ার পর এবছর গোবরের প্রদীপ বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আর যেহেতু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষরা বেশি বাইরে যেতে পারে না তাই অর্ডার দিলেই ঘরে বসে ঘুটে পেয়ে যাচ্ছে। আর তা দিয়ে সহযেই এই ধরনের প্রদীপ বানাতে পারবে তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ তারা এই উপলক্ষে দশ জনের হাতে দশটি মেশিন তুলে দেওয়া হয়। এরা বাড়িতে বসে এই প্রদীপ বানিয়ে তাদের দেবে। তারা বাজারে বিক্রি করবে। আর এই কাজের ফলে এরা ঘরে বসে দিনে তিন থেকে পাঁচশো টাকা পর্যন্ত উপার্যন করতে পারবে। মূলত দু’ধরনের প্রদীপ তৈরী করা হচ্ছে। ছোট সাইজের দাম রাখা হবে ৫ টাকা এবং বড় সাইজের দাম রাখা হয়েছে ১০ টাকা।
ঘটনায় চুমকি সেন নামে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক মহিলা জানালেন আমরা প্রদীপ পিছু এক টাকা করে মজুরি পাব। এতে আমাদের খানিকটা বাড়তি আয় হবে। যেই আয় আমরা সংসারের কাজে লাগাতে পারব।