আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অশান্ত সুদানে সেনাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারালেন সাতজন। আহত প্রায় দেড় শতাধিক। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় রাজপথে নেমে আসা প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে সেনাবাহিনী নির্বিচারে গুলি চালালে সাত বিক্ষোভকারী প্রাণ হারান।
সস্ত্রীক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক, মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সেনার হাতে বন্দি। যদিও তাঁদের কোথায় আটকে রাখা হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যাচ্ছে না। সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও এই ব্যাপারে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বিবিসির খবর অনুযায়ী, সুদান সেনা এখন দমন-পীড়ন নীতি নিয়েছে। রাত নামতেই রাজধানী খার্তুম-সহ ও অন্যান্য শহরে বিপুলসংখ্যায় বিক্ষোভকারী রাজপথে নেমে আসেন। সেনাশাসনের বিরুদ্ধে যারা উস্কানি দিচ্ছে, তাদের খুঁজে বের করতে ঘরে-ঘরে তারা তল্লাশি শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনী বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।
সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে কার্যত জ্বলছে সুদান। টায়ার পুড়িয়ে, ইটের স্তুপ বানিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বন্ধ খার্তুম বিমানবন্দর। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। বন্ধ ইন্টারনেট ও বেশিরভাগ ফোনের সংযোগ।
সুদানে সেনা শাসনের নিন্দায় সরব আমেরিকা-সহ একাধিক রাষ্ট্র। মার্কিন বিদেশ দফতর বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে জাতিসঙ্ঘ। সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে সুদানের দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দল উম্মা ও সুদানিস কংগ্রেস। সেনাবাহিনী যাদের গ্রেফতার করেছে তাদের মুক্তির দাবিতে তারা সরব। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সেনা শাসনের বিরুদ্ধে এই দুই রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
