নিজস্ব প্রতিনিধি: শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই জ্বালানির দাম বাড়ল ২৫ বার। সাম্প্রতিক সময়ে যেন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়া। প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও উদ্যোগ ও হেলদোল নেই দাম কমাতে। কেন্দ্রীয় সরকার শুধু আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামবৃদ্ধি এবং রাজ্য সরকারগুলির উপর দায় ঠেলে নির্লিপ্ত থাকছে। টানা পাঁচদিন বাড়ল দাম, শুক্রবারও সারা দেশে গড়ে লিটার প্রতি ৩৫ পয়সা করে দাম বাড়ল পেট্রল ও ডিজেলের। এদিন কলকাতায় লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯ টাকা ৭৯ পয়সা। আর ডিজেলের দাম লিটার পিছু ১০১ টাকা ১৯ পয়সা। দেশের রাজধানী দিল্লিতেও একই হাল। সেখানে এক লিটার পেট্রলের দাম ১০৯ টাকা ৩৪ পয়সা। পাশাপাশি ডিজেলের মূল্য লিটারপিছু ৯৮.০৭ টাকা।
বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে পেট্রলের দাম এমনিতেই আকাশ ছুঁয়েছে। রবিবার মুম্বইয়ে এক লিটার পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা ১৫ পয়সায়। আর এক লিটার ডিজেলের দাম ১০৬ টাকা ২৩ পয়সা। তবে দেশে পেট্রলের সর্বোচ্চ দাম রাজস্থানের গঙ্গানগরে। পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এই শহরে রবিবার পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ১২২.০৩ টাকায়। আর ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১১২.৯৯ টাকা। অপরদিকে মধ্যপ্রদেশের বহু শহরে পেট্রলের দাম ১২০ টাকা প্রতি লিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে। যেমন পান্না, সাঁতনা, রেওয়া, ছিন্দওয়ারা এবং বালাঘাট শহরে পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকার বেশি দামে। চেন্নাইয়ে লিটারপ্রতি পেট্রল বিকোচ্ছে ১০৬ টাকা ৪ পয়সা দরে। ডিজেল বিকোচ্ছে ১০২ টাকা ২৫ পয়সা লিটার দরে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরাসরি প্রভাব পড়ছে খোলাবাজারে। জ্বালানির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। ফলে বাজারে গিয়েই বিপাকে পড়ছেন আমজনতা। মাছ-সহ আনাজপাতির দাম যেমন বাড়ছে তেমনই ভোজ্য তেল-সহ মশলার দামও বাড়ছে। উৎসবের মুখে তাই চরম সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগছেন। তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদও করছেন জেলায় জেলায়। তৃণমূলের দাবি, জ্বালানি তেলের উপর মোট করের ৬৩ শতাংশ পায় কেন্দ্র। বাকি ৩৭ শতাংশ যায় রাজ্যের ভাঁড়ারে। ফলে কেন্দ্রের উচিৎ কেন্দ্রীয় কর কমালেই দাম কমবে জ্বালানি তেলের।