আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কড়া বিধিনিষেধ থাকার পরেও চিনে করোনায় মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হল না। নতুন করে সে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, মৃতেদের মধ্যে একজন শ্যাংডনের বাসিন্দা, দ্বিতীয়জন সিচুয়ান প্রদেশের। করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে সে দেশে জারি হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। সেই বিধিনিষেধের প্রতিবাদে সরব চিনের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক। প্রতিবাদের আগুনে ঘি ঢালে একটি আবসনে ১০জনের আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনা। সেই ঘটনার জেরে নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে চিন সরকার বিধিনিষেধ কিছুটা হলেও শিথিল করেছে।
শিথিল হওয়া বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে করোনা পরীক্ষা ছাড়াই বাসে বা গণপরিবহনে ওঠা যাবে। তারা ব্যবহার করতে পারবে সাবওয়ে। করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। রিপোর্ট পজিটিভ এলে স্বেচ্ছায় যেতে হবে নিভৃতবাসে। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো, যেখানে দেখা গিয়েছে করোনায় এক আক্রান্তকে জোর করে বাড়ির বাইরে বের করে আনা হচ্ছে। তাঁকে পাঠানো হবে নিভৃতবাসে।
এদিকে, চিন প্রশাসন রবিবার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, সে দেশে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৫,৭৭৫ জন। এর মধ্যে ৩১,৬০৭জন উপসর্গহীন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৩৬, ১৬৫। আর নতুন করে করোনায় দুইজনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৫,২৩৫। যদিও বিধিনিষেধ শিথিল করায় চিনবাসী কিছুটা হলেও স্বস্তিতে।