নিজস্ব প্রতিনিধি: চলছে গঙ্গাসাগর (GANGA SAGAR) মেলা। আগামী ১৫ জানুয়ারি পূণ্যস্নান। তার আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাড়ম্বরে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে হল গঙ্গা আরতি। এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার।
নিয়ম মাফিক এদিন কপিলমুনি’র আশ্রমেও সান্ধ্য আরতি হয়। সাগরতটে এদিন বিশেষ আরতির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো, বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল নিরাপত্তায়। জল এবং আগুন থেকে যেন কোনও বিপদ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী গতকাল আউট্রাম ঘাটে গিয়ে বলেছিলেন, আগামিকাল হবে গঙ্গাআরতি। পূণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে তাঁর সাবধান বার্তা ছিল, ধীরে ধীরে আচার- অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার।
এদিন আরতি’র জন্য ঘাটে সার দিয়ে রাখা হয়েছিল চৌকি। সকালে তুলে নেওয়া হবে ওই চৌকিগুলি। ব্যবস্থা ছিল জোরালো আলোর। ব্যারিকেডে ঘিরে ফেলা হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছিল আগেই। ব্যাপক ভিড় এবং জাঁকজমক হলেও কোনও দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
পঞ্চপ্রদীপ, চামর, হাতপাখা নিয়ে ভক্তি ভরে করা হয় গঙ্গা আরতি। তা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন পূণ্যার্থী ও সাধারণ মানুষ। আরতিস্থল ভরে উঠেছিল শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে। এদিন আপামর মানুষ কপিলমুনির আশ্রম, আরতি দেখার পাশাপাশি ভিড় জমান ‘বাংলার পাঁচ মন্দির’ দেখতেও।