নিজস্ব প্রতিনিধি,মালদা: বড়-সড় দালাল চক্রের পর্দা ফাঁস হল। পাট বোঝাই করে কলকাতার জুট মিলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিল ট্রাক(Truck)। সেই ট্রাক থেকে উদ্ধার প্রায় তিন কুইন্টাল মাল। যার মধ্যে রয়েছে জলের জার এবং লোহার বল। ধর্মকাটায় ওজন করতে গিয়ে ধরা পড়ে ট্রাকটি।ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ব্যবসায়ী মহলে। এই ভাবে অসাধু দালালদের মাধ্যমে ওজন ফাঁকি দিলে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে ব্যবসায়ীদের। দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি ব্যবসায়ীদের। বুধবার বিকেলে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে(Harishchandrapur) এক পাট ব্যবসায়ীর গুদামে পাট নিতে আসে একটি ট্রাক। পাট বোঝাই করে কলকাতার (Kolkata)জুট মিলে নিয়ে যেত ট্রাকটি। কিন্তু তার আগেই পর্দাফাঁস। হরিশ্চন্দ্রপুর ঢোকার মুখে গোপাল কেডিয়া মোড়ের কাছে ধর্ম কাটায় যখন ওজন করানোর জন্য যায় ট্রাকটি। তখন ধর্মকাটা কর্তৃপক্ষ দেখতে পান ট্রাকের ভেতরে প্রায়ই ৯ থেকে ১০টি ভর্তি জলের জার রয়েছে। যার এক একটি ওজন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কেজি।
এছাড়াও রয়েছে ২০ থেকে ২৫ টি লোহার বল। যার ওজন প্রায় ২ কেজি। ট্রাকটিকে আটকে দেয় ধর্মকাটা কর্তৃপক্ষ। খবর দেওয়া হয় ব্যবসায়ীদের। ট্রাকের চালক মারফত জানা যায় তাকে পাঠিয়ে ছিল বেসরকারি পরিবহন সংস্থার সুকুমার দাস। ট্রাকের ভেতরে এই মাল পত্র রাখা ছিল সেটা চালক জানতো না। এই ভাবে ট্রাকের ভেতরে ভারী জিনিসপত্র রেখে ওজন ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে দালালরা। ফলে ব্যবসায়ীদের অনেকটা লোকসান হয়। প্রশ্ন উঠেছে এরকম চলতে থাকলে ব্যবসায়ীদের কি অবস্থা হবে। জানা গেছে ব্যবসায়ীদের এই ভাবে প্রায় দুই থেকে তিন বার পাটের লোকসান হত। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি(IC) দেওদূত গজমের জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।
ট্রাকের চালক রিপন শেখ বলেন, আমি জানতাম তিনটা জলের জার রয়েছে এতগুলো যে ছিল আমি জানতাম না। কে রেখেছে এগুলো আমি জানি না।ধর্মকাটার কাটা মালিক প্রতিক আগরওয়ালা বলেন, জলের জার এবং লোহার বল বেড়িয়েছে। চালক,খালাসি, গাড়ির মালিক প্রত্যেকের যোগসাজোশ রয়েছে। এই ভাবে প্রতরণা করলে ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া উচিত এদের। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা পাট চাষের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু বর্তমান বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাট ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ তেমন ভাবে দেখতে পাচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পাট(Jute) চাষীদেরও। সাথে এই ভাবে যদি চলে সে ক্ষত্রে ব্যবসায়ীরা কোথায় যাবে। বুঝতে না পারলেই তাদের অনেকটা লোকসান হয়ে যাবে। তাই প্রশাসনিক ভাবে পদক্ষেপের দাবি তুলছে ব্যবসায়ীরা।