আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুদ্রাস্ফীতির সব রেকর্ড তছনছ পাকিস্তানে। গত ৪৮ বছরে এই প্রথম মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছে গেল শিখরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেহবাজ শরিফ সরকার রীতিমতো ল্যাজেগোবরে। পাক প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সে দেশে থাকা বিদেশি মুদ্রা দিয়ে টেনে-টুনে এক মাস চলবে। তারপরে পাকিস্তান কীভাবে চলবে, সে ব্যাপারে সরকার অন্ধকারে ডুবে রয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে সে দেশে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে ভোট আদৌ করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে যেমন সরকার, সংশয়ে নির্বাচন কমিশনও। বাতাসে ইতোমধ্যে ভাসতে শুরু করেছে যে সাধারণ নির্বাচন না হওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
লোকের হাতে টাকা নেই। ফলে, ক্রয় ক্ষমতা ক্রমশ কমছে। পাকিস্তানের কমবেশি সব রেস্টুব়্যান্ট, হোটেল, মল ফাঁকা। দোকান মালিক বা হোটেল মালিকের কাজ সকালে শুধু দোকান খোলা, আর বিকেল হলে দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করা। বন্দর শহর করাচিতে দীর্ঘদিন ধরেই হোটেলের ব্যবসা মুহাম্মদ রশিদের। জানিয়েছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথম পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি রীতিমতো সঙ্কটজনক। আগে তার হোটেল মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তের মানুষের আসা-যাওয়া লেগেই ছিল। এখন আর মধ্যবিত্ত খরিদ্দারেরা আসেন না। আসেন শুধুমাত্র উচ্চবিত্তরা। তবে, তারাও আর কতদিন আসবে তা নিয়ে রীতিমতো সন্দেহ রয়েছে। বেচা-কেনা কম হওয়ায় রেস্টুব়্যান্টের কর্মীদের বেতন দেওয়া চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।