আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এর থেকে তার থেকে ঋণ করে পাকিস্তান এতোদিন ঘি খেয়েছে। এবার সে দেশের মানুষ আগামীদিনে আর ঘি খেতে পাবে না। এমনকী রান্না করার তেলও জুটবে না।
পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সমিতি কোরাঙ্গি অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শেখ উমের রহমান এই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন। বলেছেন, ব্যাঙ্ক ব্যবসায়ীদের ধারের সুবিধা না দিলে (লেটার অব ক্রেডিট) তাদের পক্ষে আর কোনওভাবেই ঘি বা ভোজ্যতেল কেনা সম্ভব হবে না। বন্দরে জাহাজ নোঙর করে রয়েছে। বিদেশ থেকে আনা ঘি এবং ভোজ্যতেল সেখানে পড়ে রয়েছে। সেগুলি ছাড়িয়ে আনতে ব্যাঙ্কের কাছে ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে কাগজপত্র জমাও দিলেও ব্য়াঙ্ক সেই সব কাগজপত্র ছাড়তে চাইছে না। ব্যবসায়ীরা সমস্যায়। বাজারে পড়ে থাকা ঘি এবং ভোজ্য তেল দিয়ে খুব বেশি হল ২০ দিন, টেনে-বাড়িয়ে এক মাস পর্যন্ত চলবে। ব্যাঙ্ক লেটার অব ক্রেডিটের সুবিধে না দিলে আমাদের পক্ষে নগদ দিয়ে দুটোর একটাও কেনা সম্ভব নয়।
পাকিস্তান রীতিমতো আর্থিক সংকটে রয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কাছে তারা চেয়েছে বেলআউট প্যাকেজ। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের এক প্রতিনিধিদল বর্তমানে পাকিস্তান সফরে রয়েছে। তারা সরকারের সঙ্গে এক প্রস্থ কথাও বলেছে। পাকিস্তানকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে অন্য়ান্য় দেশও। প্রশ্ন , এই বিশাল পরিমাণ পরিশোধ নিয়ে।
অন্যদিকে পাক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের পরিস্থিতি জটিল।