নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: বিয়ের এক মাসের আগেই নব পরিণীতা বধূকে খুন করে মৃতদেহ ওয়ারড্রোবে লুকিয়ে রেখে থানায় হাজির হলো ঘাতক স্বামী। থানায় কর্তব্যরত আধিকারিকের কাছে নিজের কুকর্মের কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছেন। প্রথমে পুলিশ ঘাতকের কথা শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিল। পরে ফ্ল্যাটে পৌঁছে ওয়ারড্রোবের ভিতর থেকে নববধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কেন বিয়ের এক মাস পেরোতে না পেরোতেই নববিবাহিতা স্ত্রীকে খুন করলেন ওই যুবক তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি বীরগঞ্জের কলেজপাড়ার বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন দিনাজপুর শহরের গুরগোলার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন মিঠু। সুমাইয়া একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে শহরের ঘাসিপাড়ার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতে শুরু করেন মিঠু। শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ থানায় হাজির হয়ে স্ত্রীকে খুন করার কথা জানান। পুলিশকে তিনি জানান, শুক্রবার ভোর রাতের দিকে সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে মরদেহ ওয়ারড্রোবে লুকিয়ে রেখেছেন।
প্রথমে মিঠুর কথা বিশ্বাস করেননি কর্তব্যরত আধিকারিক। পরে পুলিশের একটি দল ঘাসিপাড়ার ভাড়া বাড়িতে হানা দিয়ে চার তলার ওয়ারড্রোব থেকে ওই সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। বাড়ির মালিকসহ পড়শিরা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কখনও ঝগড়াঝাঁটি হতে দেখেননি। নিহত গৃহবধূর ভাই ইসহাক আলী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রথম বিয়ে লুকিয়ে সুমাইয়াকে বিয়ে করেছিলেন মিঠু। তার ওই কীর্তির কথা জাজানানি হতেই সুমাইয়াকে পরিকল্পতভাবে খুন করেছেন।’