নিজস্ব প্রতিনিধি: পাকিস্তানে ক্রমশ জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। মাংস, চাল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি এবার দাম বাড়ল জীবনদায়ী ওষুধেরও। নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম ২০ শতাংশ ও জরুরি ওষুধের দাম ১৪ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার ওষুধের নতুন দামে অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমন্বয় কমিটি (ইসিসি)।
উল্লেখ্য দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানে ওষুধের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ওষুধ আমদানি করতে পারছিল না পাকিস্তানের সরকার। ওষুধ শিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছিল শাহবাজ শরিফ প্রশাসনের। গত এক মাস ধরে পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন (পিপিএমএ) ও সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছিল। ওষুধের দাম বাড়ানোর বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে শুক্রবার তা অনুমোদন পায়। পিপিএমএ ওষুধের দাম ৩৯ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। বর্তমানে দেশটিতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৪৭ শতাংশ।
প্রসঙ্গত আগামী কয়েক মাস পরেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। ভোটের আগে জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ানোর ঝুঁকি নিতে চাইছিল না শাহবাজ শরিফের সরকার। ওষুধের দাম বাড়ালে জনসমর্থন হারিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল শাসকদলের। অন্যদিকে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি রুপির মূল্য বাড়লে তিন মাস পরে আবার ওষুধের দাম কমানো হতে পারে।