নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার-উত্তর ময়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তার আগে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রক সতর্কতা জারি করেছে। কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহা বিপদসংকেত জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান শনিবার জানান, কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহা বিপদসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহা বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকেই কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলায় বিপদাপন্ন জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত ৮ হাজার ৫০০ মানুষকে ৩৭টি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।‘মোচা’ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোচা ধেয়ে আসছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি। ঝড়টি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছি।’
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় কারণে বাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ড আগামী রবিবার ও সোমবার মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা স্থগিত করেছে। শনিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, পায়রা বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়াও উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে। তবে বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।