এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জিয়াগঞ্জের গবেষক আমচাষীর কৃতিত্ব, একই গাছে ১৩০ রকমের আম

নিজস্ব প্রতিনিধি: মালদা(Malda) ও মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) নবাবি আমলের বিভিন্ন প্রজাতির আমের(Mango) অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রায় আড়াই দশক ধরে সংরক্ষণের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ মহকুমার জিয়াগঞ্জ(Jiaganj) ব্লকের বাগডহরের বাসিন্দা তথা আমচাষি ও গবেষক কুশল ঘোষ(Kushal Ghosh)। তিনি গ্রাফটিং(Grafting) প্রক্রিয়ায় একই গাছে সর্বাধিক ১৬৫ প্রজাতির আম ফলন করে রীতিমতো নজির সৃষ্টি করেছেন। পাশাপাশি সংকরায়নের মাধ্যমে বেলচম্পা, ল্যাম্বো, শ্যামভোগ প্রভৃতি নতুন প্রজাতির আম উৎপন্ন করেছেন। মিশ্র প্রজাতির আমগুলিও স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় বলে দাবি করছেন অনেকেই যারা এই আমগুলি খেয়ে দেখেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন প্রতি বছর ৭ মিলিমিটার পর্যন্ত জলস্তর বাড়ছে সুন্দরবনে

জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের নবাবরা আমের ব্যাপারে অত্যন্ত সৌখিন ছিলেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁরা হরেক প্রজাতির আমগাছ এনে নিজেদের বাগানে লাগাতেন। শোনা যায়, নবাবদের বাগানে দুই শতাধিক প্রজাতির আম গাছ ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেক আমবাগান কেটে বসতি গড়ে উঠেছে। কিছু বাগানের অস্তিত্ব থাকলেও হরেক প্রজাতির আমগাছের  দেখা পাওয়া যায় না। ফলে নবাবদের পছন্দের একাধিক প্রজাতির আম মুর্শিদাবাদের মাটি থেকে হারিয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু প্রজাতির আমের অস্তিত্ব এখন সঙ্কটে। সেই সব হারিয়ে যাওয়া আমদের নিয়েই গবেষণা কুশলবাবুর। জিয়াগঞ্জ শহরের বাগডহর মোড় থেকে উত্তরে ১০০ মিটার দূরে তাঁর নিজস্ব আমবাগান। সেই আমবাগানের কোনও গাছে ১৬৫ প্রজাতির আম ফলে, তো কোনটিতে ১৩০ প্রজাতির, আবার কোনটিতে ১০০ প্রজাতির আম ফলে।  

আরও পড়ুন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ ববিতার

কুশলবাবু এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘মুর্শিদাবাদের মাটি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছিল। এই বিষয়টি আমাকে খুব ভাবিয়ে তুলেছিল। আমের বিভিন্ন প্রজাতির সংরক্ষণের তাগিদে ২০০০ সালে এক উদ্যান পালন আধিকারিকের কাছে গ্রাফটিং-এর মাধ্যমে একই গাছে একাধিক প্রজাতির আম ফলানোর হাতেকলমে শিক্ষা লাভ করি। ২০০০ সাল থেকে গ্রাফটিং প্রক্রিয়ায় একই গাছে বিভিন্ন প্রজাতির কলম বসানোর কাজ শুরু করি। দুই বছর পরে থেকে ফল পাওয়া শুরু হয়। সাফল্য উৎসাহকে বাড়িয়ে তোলে। একই গাছে কোহিতুর, বোম্বাই, হিমসাগর, ল্যাংড়া, সারেঙ্গা, বিমলি, বিরা, চম্পা, রানিপসন্দ, আনারস, আলফানসো, ফজলি, গোলাপখাস, পাঞ্জাপসন্দ সহ সর্বাধিক ১৬৫ প্রজাতির আম ফলিয়েছি। চলতি বছরে দু’টি গাছে প্রায় ১০০টি প্রজাতির আম ফলেছে। সংরক্ষণের পাশাপাশি সঙ্করায়নের মাধ্যমে বেলচম্পা, শ্যামভোগ, ল্যাম্বো প্রভৃতি কয়েকটি নতুন প্রজাতির আম তৈরি করেছি। আরও বেশ কিছু নতুন প্রজাতির আম তৈরির প্রক্রিয়া জোরকদমে চলছে। আশা করছি, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে দু-তিনটি উন্নত সংকর প্রজাতির আমের ফলন হবে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

৪৮ লাখ টাকার গয়না, ২টি গাড়ি, আর কী কী সম্পত্তি রয়েছে রচনার?

বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে নিয়ে চা চক্রে যোগ দিয়ে বিতর্কে দিলীপ

প্রথম দিনেই বিক্ষোভের মুখে রেখা পাত্র, প্রচারে বিঘ্ন

রেকর্ড ভাঙা গরম,  দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তালিকায় বাংলার দুই জেলা

মালদায় মমতার পথ চেয়ে কিষান সম্প্রদায়, দাবি তপশিলী উপজাতি তকমার

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর