নিজস্ব প্রতিনিধি, সল্টলেক: সাইবার প্রতারণা শিকার হলেন কলকাতা পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের আত্মীয়। বন্ধন ব্যাংকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারনার অভিযোগ। রানাঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার দুই মূল অভিযুক্ত। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম(Cyber Crime) থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর ,২০২৩ সালের মে মাসে বন্ধন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন যে, কিছুদিন আগে কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ঈপ্সিতা ভট্টাচার্য বন্ধন ব্যাংকে একটি অভিযোগ জমা করেন।সেই অভিযোগ অনুযায়ী তাঁর এক পরিচিত ব্যক্তি বন্ধন ব্যাংকে চাকরির পাওয়ার নামে প্রতারিত হয়েছেন। অভিযোগ অনুযায়ি, প্রতারিত ব্যক্তি একটি ওয়েবসাইট মারফত বন্ধন ব্যাংকে ভ্যাকেন্সির কথা জানতে পারেন এবং সেখানে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেন।অভিযোগ প্রতারিত ব্যক্তিকে বন্ধন ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি ফি বাবদ ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা জমা করতে বলেন। সেই টাকা জমা করার পরে তাঁর কাছে বন্ধন ব্যাংকের এপয়েন্টমেন্ট লেটার আসে ।
সন্দেহ হওয়ায় তিনি বন্ধন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন যে ওই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারটি জাল।এরপরে তিনি নিজের আত্মীয় ঈপ্সিতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাকে পুরো বিষয়টি জানান। পুরো বিষয়টি জানিয়ে ঈপ্সিতা ভট্টাচার্য বন্ধন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।বন্ধন ব্যাংক এর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিস। এরপরেই শুক্রবার বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস হানা দেয় নদীয়া জেলার রানাঘাট(Ranaghat) এলাকায়। সেখান থেকে এই চক্রের মূল অভিযুক্ত রিশব বাছার এবং নিলয় দেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে মোট ১১ টি মোবাইল ফোন, ছটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড, পাস বই, দুটি সিমকার্ড একটি ল্যাপটপ(Laptop) উদ্ধার করে পুলিশ।শনিবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালত তোলা পেশ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই প্রতারনা চক্র একটি ফেক ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখান থেকে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। এরপরেই তারা একটি ভুয়ো মেইল আইডি মারফত সেই চাকরিপ্রার্থীদের মেল করতো। বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীদের ফেক অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পর্যন্ত দেওয়া হতো। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে তা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।