এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ধান বিক্রিতে ফড়েদের ঠেকাতে কড়া নজরদারি রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকৃত চাষিদের(Farmers) কাছ থেকেই ধান ক্রয় নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। এমনকি নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের চালু করা কৃষকবন্ধু(Krishak Bandhu) প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত না থাকলেও সরকারের কাছে ধান বিক্রি করা যাবে। কৃষকেরা কবে ও কোথায় ধান বেচবেন, তা তিনিই ঠিক করবেন এবং তাঁকেই অনলাইনে বুকিং(Online Booking) করতে হবে। ১৯ জুলাই থেকে ধানের ক্রয়মূল্য বাড়িয়ে কুইন্ট্যাল প্রতি ২১৮৩ টাকা করা হয়েছে। একজন কৃষক গোটা মরশুমে মোট ৯০ কুইন্ট্যাল পর্যন্ত ধান সরকারের কাছে বেচতে পারবেন। পরিমাণটা আগে ছিল ৪৫ কুইন্ট্যাল। জেলার প্রতিটি ক্রয় কেন্দ্রে চাষিরা ধান বিক্রি করতে পারবেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও ভাবেই ফড়েরা এসে ধান বিক্রি(Paddy Procurement) করতে না পারে তার জন্য এবার কড়া পদক্ষেপ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।  

আরও পড়ুন কলকাতায় বাড়ি তৈরির খরচ কমালো মমতার সরকার

কেন পদক্ষেপ? রাজ্যের খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের দাবি, গত মরশুমে অনেক চাষি ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে না পেরে ফড়েদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এখন আড়তদার বা ফড়েদের কাছেই বিপুল পরিমাণ ধান মজুত রয়েছে। তারা এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে। এখন রাজ্য সরকার কুইন্ট্যাল প্রতি কুইন্ট্যাল ধানের দাম দিচ্ছে ২১৮৩ টাকা। আগে সেটাই ছিল ২০৪০টাকা। সেই সঙ্গে আগে কৃষকেরা সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্ট্যাল ধান বিক্রি করতে পারতো। ফলে আগের মরশুমে ধানের ভাল দাম না পেয়ে অনেকেই যেমন ফড়েদের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছে তেমনি ৪৫ কুইন্ট্যালের বেশি ধান বিক্রি করতে না পেরেও ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে ছোট চাষীদের কাছে ধান প্রায় নেই। কিন্তু ভাল পরিমাণের ধান রয়ে গিয়েছে ফড়েদের কাছে। রাজ্য সরকার ধানের শায়ক মূল্য বাড়িয়েছে যাতে বাংলার চাষীরা তাঁদের উৎপাদিত ফসলের বেশি দাম পান। ফড়েদের পকেটে বাড়তি টাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার পদক্ষেপ করেনি। কিন্তু এখন যখন দেখা যাচ্ছে ফড়েরা এই সুযোগ নিতে চাইছে আর তখনই কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন পড়ুয়াদের স্কলারশিপের আওতায় আনতে SMS

রাজ্যের খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ফড়েদের ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, বৈধ নথি ছাড়া ধান কেনা যাবে না। ফড়ে বা দালালরা ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে পারবেন না। স্থায়ী ধানক্রয় কেন্দ্র, সরকারি ধানক্রয় কেন্দ্র অথবা মোবাইল ধানক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে মিলবে ২ হাজার ২০৩ টাকা। ধান কেনা হবে শুধু মাত্র রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ও রাজ্যের অন্যান্য প্যাকেজ প্রকল্প চাল বন্টনের জন্য। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এখনও বহু চাষির বাড়িতে ধান মজুত রয়েছে। বর্ষার মরশুমে চাষ করার জন্যই তাঁরা ধান মজুত করে রাখেন। সরকার ধানের সহায়ক মূল্য বাড়ানোয় সেই সব চাষিরা লাভবানই হবেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দাদা ইউসুফের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ভাই ইরফান

সন্দেশখালিকাণ্ডে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

‘পরিসংখ্যানের লড়াই হোক, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন’, মোদিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

সন্দেশখালিকাণ্ডে রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের

‘সন্দেশখালির বেলুন আলপিন ফুটেছে, চক্রান্ত এখন জনসমক্ষে’, বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের

প্রচারের শেষলগ্নে চণ্ডীপাঠের মন্ত্র বিকৃত করার অভিযোগে বিদ্ধ অসীম

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর