এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলপ্রতি শিক্ষণ সহায়ক উপকরণে বরাদ্দ বাড়ল ৫ গুণেরও বেশি

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের(Government Aided Primary Schools in Bengal) ছাত্রছাত্রীদের উন্নত শিক্ষার সুবিধার্থে শিক্ষণ সহায়ক উপকরণের(Teaching Aids) ব্যবহার শুরু হয়েছিল। সেই উপকরণ বাবদ এবার একধাক্কায় অনেকটা বরাদ্দ বৃদ্ধি(Increase Allocation) করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার(Mamata Banerjee Government)। আগে শিক্ষক প্রতি ওই খাতে বছরে মাত্র ৫০০টাকা বরাদ্দ ছিল। সেটাই এবার বাড়িয়ে স্কুল প্রতি বছরে ১২৯০০টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের দাবি, বাংলার সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্লাস্টিকের ফল, সবজি, বিভিন্ন কার্ড, খেলনা, কম্পাস, ঘড়ি ও গ্লোবের মতো প্রায় পঞ্চাশ রকমের সামগ্রী শিক্ষণ উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় যা পড়ুয়াদের(Students) প্রাথমিক জ্ঞানের জন্য দরকার। এতদিন সরকারি বরাদ্দে তার সবকিছু কেনা যেত না। এবার সেই অসুবিধা দূর হয়েছে।    

বাংলার সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে সাধারণত গড়ে ৫জন করে শিক্ষক থাকেন। সেই নিরিখে আগে একটি স্কুল প্রতি বাৎসরিক বরাদ্দ ছিল প্রায় ২৫০০টাকা। যা এখন ৫ গুণেরই বেশি বাড়িয়ে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এতে প্রাথমিক শিক্ষার মান অনেকখানি উন্নত হবে। এবারের বরাদ্দ শিক্ষার্থীদের শ্রেণি অনুসারে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। আগে ৫০০ টাকাতেই সারা বছর ধরে ১জন শিক্ষককে প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষণ সহায়ক উপকরণ কিনতে হতো। এবার, প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ হাজার ৯০০ টাকা এবং প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ৯ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অর্থাৎ মোট ১২ হাজার ৯০০টাকা সরকার বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের একাধিক সরকারি প্রথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এতদিন শিক্ষণ সহায়ক সামগ্রী বাবদ সামান্য টাকা পাওয়া যেত। সেই টাকায় গ্লোব, ম্যাপ, বল সহ শিক্ষণ সরঞ্জাম কেনা হতো। বরাদ্দ অনেকখানি বাড়িয়ে দেওয়ায় প্রচুর শিক্ষণ সামগ্রী কেনা সম্ভব হবে। একই রকম জিনিস একাধিক কেনা যাবে। তাতে বেশি সংখ্যায় শিক্ষার্থীরা নিজের হাতে শিক্ষণ সহায়ক সামগ্রী পরখ করার সুবিধা পাবে।  

আগে রাজ্যে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক সংখ্যার বিচারে একটি স্কুল টাকা পেত। স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা কম না বেশি, সেই মূল্যায়ন হতো না। তাতে সমস্যা হতো। অনেক সময় শিক্ষণের প্রয়োজনীয় সামগ্রী অন্য খাতের টাকা থেকেও কিনতে হতো। এবার বরাদ্দ বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই সুবিধা হবে। বাচ্চাদের মধ্যও বাড়তি উৎসাহ তৈরি হবে। স্কুলে যাওয়ার ইচ্ছাও বাড়বে। ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা তৈরি করতে শিক্ষণ উপকরণগুলির ভূমিকা বিজ্ঞানসম্মত এবং কার্যকরী। সেই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জেরে শিক্ষার মানের উন্নতি হবে এতে কোনও সন্দেহ নেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মঙ্গলবার গোটা বঙ্গ জুড়ে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, ২৩ মে নিম্নচাপ বলয় তৈরির সম্ভাবনা প্রবল

মমতাকে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিজিৎকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

ক্রমশ বসে যাচ্ছে প্রায় ১৫০ বছরের পুরাতন কলকাতা হাইকোর্টের হেরিটেজ ভবন

অশনিসঙ্কেত! এক সপ্তাহে কলকাতায় করোনা আক্রান্ত ৫ জন

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের

ফের রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর