নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে ভয় দেখাচ্ছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। তাই চিন্তা ভারতেও। রাজ্যগুলিকে করোনার এই নয়া প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এর মাঝে কিছুটা অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণে সামান্য উন্নতির হার যে লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তাতে কিছুটা ঘাটতি ঘটেছে। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ আটশোর গণ্ডির নিচে নামলেও ছুটির দিনে কিছুটা সংক্রমণ গতকালের তুলনায় বেড়েছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭১৫ জন। যা গত শনিবারের তুলনায় একটু বেশি।
বুধবারই রাজ্যে মারণ ভাইরাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আটশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ফলে সামান্য হলেও উদ্বেগ বেড়েছিল। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় কিছুটা স্বস্তির খবর বয়ে আনল স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক করোনা বুলেটিন। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় ৩৫ হাজার ৫০৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় আরও ৭১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৬৭ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ০১ শতাংশ। একই সময়ে মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন ১২ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ৪৬২ জন।’
সুস্থতার হারও লাগাতার স্বস্তি দিয়ে চলেছে। করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭১৯ জন। এ নিয়ে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হলেন ১৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬০১ জন। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩১ শতাংশে দাঁড়িয়ে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে ১৬টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮০৪ জনে।’
কলকাতা মহানগরীর করোনা পরিস্থিতি অবশ্য উদ্বেগ কাটাতে পারছে না। গত ২৪ ঘন্টায় মহানগরীতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন তিন জনের। পার্শ্ববর্তী উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের।