নিজস্ব প্রতিনিধি : আচমকাই হাওড়াগামী বর্ধমান লোকালে চলল গুলি। ভিড়ের মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লেন এক যুবক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ভিড়ে ঠাসা লোকাল ট্রেনে এই ধরনের ঘটনায় হকচকিয়ে যান অনেকেই। আত্মঘাতী পুলিশ কনস্টেবলের নাম শুভঙ্কর সাধুখাঁ (৪৪)
আর পাঁচটা দিনের মতোই অফিস টাইমে ভিড়ে ঠাসা ছিল হাওড়াগামী বর্ধমান লোকাল। আচমকাই ট্রেনের মধ্যে গুলির আওয়াজ শুনতে পারেন সহযাত্রীরা। গুলির আওয়াজ শুনে সকলে হকচকিয়ে যান। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সহযাত্রীরা দেখতে পান, একটি যুবক সিটের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। হাতের মুঠোয় তখনও তাঁর বন্দুক ধরা। মাথা ও কপাল থেকে চুঁইয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। সারা মুখ রক্তে মাখামাখি। জামাকাপড়ও রক্তে ভেজে গিয়েছে।
কিন্তু কি কারণে গুলি চালালেন ওই যুবক, পুলিশ ইতিমধ্যে তা তদন্ত শুরু করেছে। সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, গুলি চালানোর আগে আর পাঁচ জন যাত্রীর মতোই আচরণ করছিলেন গুলিবিদ্ধ ওই যুবক।পালসিট স্টেশনের কাছে আসতেই নিজের সার্ভিস রিভালবার দিয়ে গুলি চালিয়ে দেন ওই যুবক। সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, শুভঙ্করের মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোন আসার পরই গুলি চালিয়ে দেন তিনি।
হাওড়া জিআরপির এসআরপি পঙ্কজ দ্বিবেদী জানান, বর্ধমান-হাওড়া লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরায় কর্মরত ছিলেন ওই কনস্টেবল। আচমকাই পালসিট স্টেশনের কাছে গুলি চালিয়ে দেন তিনি। জানা গিয়েছে, শুভঙ্করের বাড়ি বর্ধমানের বড়নীলপুরে।প্রাথমিকভাবে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন শুভঙ্কর। সেইকারণেই গুলি চালিয়ে থাকতে পারেন। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।