নিজস্ব প্রতিনিধি: সব জল্পনার অবসান। বরাহনগর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় দলের প্রার্থী হয়েছেন রেয়াত হোসেন সরকার। শুক্রবার সন্ধ্যায় শাসকদলের পক্ষ থেকে দুজনের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ইডি হানার পরেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়। বিধায়ক পদে ইস্তফাও দিয়েছেন তিনি। ফলে ওই আসনটি শূন্য হয়েছে। লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার সময়েই বরাহনগর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১ জুন ওই আসনে ভোটগ্রহণ। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ইদ্রিস আলির মৃত্যুর কারণে ভগবানগোলা আসনটি শূন্য হয়।
গত কয়েকদিন ধরেই ওই দুই আসনে শাসকদলের প্রার্থী কারা হবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা চলছিল, অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরাহনগরে দাঁড় করাতে পারে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বাঁকুড়া আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন টলি অভিনেত্রী। যদিও বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখর দানার কাছে হারতে হয়েছিল। তবে বিধানসভা ভোটে হারার পরেও তৃণমূল রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেই দেখা গিয়েছিল সায়ন্তিকাকে। বাঁকুড়ায় ঘাসফুল শিবিরের হয়ে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার অন্যতম দাবিদারও ছিলেন। কিন্তু গত ১০ মার্চ বিগ্রেডের ‘জন গর্জন’ সভা থেকে ওই আসনে তালডাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তাতেই দলের প্রতি অভিমান করে দূরে সরে যান সায়ন্তিকা। এমনকি দলের বিভিন্ন পদ থেকে তার ইস্তফা দেওয়ারও খবর রটে। যদিও পরে তা অস্বীকার করেন অভিনেত্রী।