নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম আমলের জরাজীর্ণ ও অসুস্থ অবস্থা কাটিয়ে সুস্থ হচ্ছে তিলোত্তমা। আগামী দিনে উন্নততর কলকাতা হবে তৃণমূলের হাত ধরেই। ঠিক এইভাবেই বাম আমলের সঙ্গে তৃণমূলের আমলে কলকাতার উন্নয়ন নিয়ে কলম ধরে কটাক্ষ করেছেন কবি জয় গোস্বামী। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’তে কবি জয় গোস্বামী লিখেছেন, ‘কলকাতা অচিরেই ব্যাধিমুক্ত হবে। দ্রুত আরোগ্যের পথে চলেছে ‘সিটি অফ জয়’। গত এক দশকের তৃণমূল জমানায় রোগক্লিষ্ট শহরটা নিরন্তর সেবাযত্নে অনেকটাই সুস্থ সবল হয়ে উঠেছে। গতিময়তার সঙ্গে এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য। কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার অর্থই নিরবিচ্ছিন্ন অগ্রগতি।’
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট। আর ঠিক তার আগেই ‘জাগোবাংলা’তে জনপ্রিয় কবি জয় গোস্বামীর কলমে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের প্রশংসা ফুটে ওঠায় বেজায় চাপে বিরোধী শিবির। বিশেষ করে বাম শিবিরের দিকেই আক্রমণ করায় পুরভোটের আগেই অস্বস্তিতে লাল ব্রিগেড। জয় গোস্বামী লিখেছেন, ‘৩৪ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল পূর্বতন সরকার। সমাজের সর্বস্তরে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করার নেশায় বুঁদ হয়ে দম্ভ আর আত্মতুষ্টির ফাঁদে পড়ে স্তাবকদের আনুগত্যকে সঠিক ভেবে নিয়ে ভুয়ো ভালতে গা ভাসিয়েছিলেন। তাতে যা হওয়ার তাই হয়েছিল। জনগণ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
তবে জয় গোস্বামী নিজের লেখনিতে জানিয়েছেন, শহরে এখনও একটা সমস্যা রয়েছে। যা হল বর্ষায় জল যন্ত্রনা। তবে তাও দ্রুত নিরাময় হবে, আশ্বাস কবির। তিনি বিশ্বাসের সঙ্গে লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ফিরহাদ হাকিমের মহানাগরিকত্বে এই অসুখেরও শুশ্রূষা চলেছে এবং আমি নিশ্চিত তা সেরেও যাবে।’ জয় গোস্বামী জানিয়েছেন, মেয়র হিসেবে ফিরহাদ হাকিম ও প্রয়াত নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় ভালো কাজ করেছেন। জয় গোস্বামী লিখেছেন, ‘সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই মহানগরীর ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের যত খোঁজখবর রাখেন, ভূগর্ভস্থ কলকাতার হালহকিকত সম্পর্কে ততটাই ওয়াকিবহাল।’ ফিরহাদ হাকিমের প্রশংসায় জয় গোস্বামী লিখেছেন, ‘বইটি মুদ্রণের সময় কিছু সমস্যা দেখা দেয়। মহানাগরিকের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় তা কেটেও যায়।’ তবে মেয়র হিসেবে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়ের জন্য এক বাক্যও খরচ করেননি জয় গোস্বামী। প্রবীণ কবির এই লেখনি তৃণমূলের কাছে মূল হাতিয়ার পুরভোটের মুখেই। বিশেষ করে সিপিএমের বিরুদ্ধে জয় গোস্বামীর লেখনি অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।