এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শান্তনু-সুব্রতকে তৃণমূলে ফেরার বার্তা দিলেন মমতাবালা

নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। অথচ সম্পর্কে সাপে নেউলের থেকেও খারাপ। আগে যাও বা দুই পরিবার একই রাজনৈতিক দলে ছিল, এখন সেখানেও বিপরীত অবস্থান। একপক্ষ তৃণমূলে তো অপর পক্ষ বিজেপিতে। এক পক্ষ পরাস্ত তো অন্য পক্ষ জয়ী। কিন্তু সেই জয়েও এখন ছড়িয়েছে অস্বস্তি জয়ী শিবিরে। কেননা অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের শাসক দল আর মতুয়া ভোটকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতে চাইছে না। তাই কেন্দ্রের শাসক দলের বঙ্গীয় কমিটিতে মতুয়াদের কোনও প্রতিনিধি নেই। আর সেই না থাকার ক্ষোভেই জয়ী পক্ষের একাধিক বিধায়কেরা বড়দিনের দিনেই দলকে ধাক্কা দিয়ে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছেন। যার জেরে জল্পনা ছড়িয়েছে এই বিধায়কেরা আগামী দিনে তৃণমূলে যোগ দিলেও দিতে পারেন। এই অবস্থায় তাঁদের সরাসরি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন পরিবারের বিপক্ষ সদস্য। নজরে গাইঘাটা ঠাকুরনগরের মতুয়াদের ধর্মসমাজের প্রধান ঠাকুর পরিবার। সেই পরিবারের দুই বিজেপি জনপ্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর ও সুব্রত ঠাকুরকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বাণ জানিয়েছেন তাঁদের জ্যাঠাইমা তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।

মমতাবালার সঙ্গে শান্তনু-সুব্রতদের পরিবারের বিবাদ কারও অজানা নয়। মমতাবালা এখনও তৃণমূলে থাকে গেলেও শান্তনু আর সুব্রতরা অনেকদিন আগেই বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিজেপিতে গিয়ে লোকসভা নির্বাচনে জিতে শান্তনু হয়েছেন সাংসদ, আর এখন তো তিনি কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীও। সুব্রতও এবারে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু বড়দিনের দিন বঙ্গ বিজেপি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন যে ৫ বিজেপি বিধায়ক তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুব্রত ঠাকুরও। এরপরেই এদিন মমতাবালা তাঁদের তৃণমূলে যোগ দিতে আহ্বাণ জানিয়েছেন। যদিও একুশের বিধানসভার পর থেকেই একাধিকবার গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে শান্তনু যে কোনওদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। এমনকি বিজেপির বেশ কিছু কর্মসূচীতে হাজিরাও দিচ্ছিলেন না শান্তনু। অনেকেই দাবি করেছেন, শান্তনুকে ধরে রাখতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রীর পদ দিয়েছে। যদিও তাতে যে পরিস্থিতির কিছু বদল ঘটেনি সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে।

ঠিক কী বলেছেন মমতাবালা? তাঁর বক্তব্য, ‘বিজেপি এখন আর মতুয়াদের নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। মতুয়াদের নাগরিকত্ব বা নানান দাবিদাওয়া নিয়ে মোদি সরকার কিছু করছে না। তাই মতুয়ারা ওদের পাশ থেকে সরে যাচ্ছে। এটা ওরাও বুঝতে পারছে। তাই ওরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। মতুয়াদের জন্য কেউ যদি কিছু করে থাকেন, তা হলে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-র ছলাকলা মতুয়ারা ধরে ফেলেছেন। আমার কাছে হাজার হাজার ফোন আসছে। সকলেই বলছেন, ভুল করে ফেলেছি, তৃণমূলে ফিরতে চাই। আমি বলেছি, সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী। ওঁরাও যদি এই পথেই হাঁটতে চান, তা হলে স্বাগত। কিন্তু এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’

মমতাবালার এহেন বক্তব্যের জেরে মতুয়ামহলে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও শান্তনু ঠাকুর বা সুব্রত ঠাকুর এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে প্রকাশ্যে অন্তত কোনও মতামত জানাননি। তবে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে শুধু শান্তনু বা সুব্রত নয়, শুধুই মতুয়া বিধায়কেরা নন, বিজেপির প্রায় ৪০জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। যোগাযোগ রেখে চলেছেন ২০১৮ সালে বাংলা থেকে জয়ী বিজেপির ৭-৮জন সাংসদও। আগামী দিনে এদের তৃণমূলে দেখা গেলে খুব বেশি অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার, ট্যুইট করে দাবি কুণালের

বাংলার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

সন্দেশখালিকাণ্ডে CBI তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের মামলার সুপ্রিম শুনানি মুলতুবি

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর