নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১৫ হাজার পার হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব বলছে রাজ্যে সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ১০১। কোভিড ঠেকাতে রাজ্যে ৪০৩টি এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন লাগু করা হয়েছে। তারপরেও রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ কোভিডবিধি মেনে চলছেন না। মুখে পরছেন না মাস্ক। কলকাতা সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় রীতিমত উর্ধ্বমুখী হয়েছে কোভিডের সংক্রমণ। কলকাতায় এখন প্রতি দুজনে সংক্রমিত এক জন। এই অবস্থায় কালিঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিল আগামী ১১ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে সেবায়ত ও পুরোহিতরা প্রবেশ করতে পারবেন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট বলছে বাংলায় এখন কোভিড পজিটিভিটির হার বেড়ে হয়েছে ২৪.৭১ শতাংশ। ভয়াবহ অবস্থা কলকাতার। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় শুধু ৬,৫৬৯ জন মানুষ কোভিডে আক্রান্তই হননি, কার্যত তাঁদের হাত ধরেই শহরের পজিটিভিটি রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.০৯ শতাংশে। অর্থাৎ কলকাতায় এখন প্রতি দুজনে সংক্রমিত এক জন করে। এই অবস্থায় কালিঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে অনেকেই মনে করছেন কালিঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত আসলে নেওয়া হয়েছে গঙ্গাসাগর ফেরত পূণ্যার্থীদের ভিড় সামাল দিতে। কেননা প্রতি বছরই দেখা যায় গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ভিন রাজ্যের লক্ষাধিক তীর্থযাত্রী হয় গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে নাহলে মেলা থেকে ফেরার পথে দল বেঁধে কালিঘাট মন্দির দর্শনে আসেন। এবারেও সেই সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ভিড় আছড়ে পড়ার আগেই মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিল আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি মন্দিরের গর্ভগৃহে ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে বাইরে থেকে তাঁরা দর্শন করতে পারবেন, পুজোও দিতে পারবেন। মন্দিরের সেবায়ত ও পুরোহিতরা অবশ্য প্রয়োজন হলে গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন।