এই মুহূর্তে




কালীপুজোর আগে বসতে চলেছে বাজির বাজার, এবার কবে কোথা থেকে কিনবেন গ্রিন বাজি?

নিজস্ব প্রতিনিধি: কালীপুজো হল আলোর উৎসব। প্রতি বছর কালীপুজোয় শব্দবাজির তাণ্ডব নিয়ে সতর্ক করা হয়। সাধারণ মানুষকে জোর দেওয়া হয় পরিবেশবান্ধব বাজি কেনাকাটার উপর। বিক্রি বন্ধ থাকে কান ফাটানো শব্দ বাজির। প্রতি বছরের মতো এই বছরও শহরে বসতে চলেছে পরিবেশবান্ধব বাজি (যা গ্রীন বাজি নামে পরিচিত) বাজি বাজার। ২০ অক্টোবর পালিত হবে কালীপুজো। তার আগে ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার থেকেই বসবে বাজির বাজার। চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত।

কলকাতা পুলিশের এলাকায় মোট ৪টি বাজির বাজার বসতে চলেছে । একটি শহিদ মিনারের কাছে ময়দান মাঠে, উত্তর কলকাতার টালায়, দক্ষিণ কলকাতার বেহালা এবং ইএম বাইপাসের সংলগ্ন কালিকাপুর মাঠে বসবে বাজারগুলি। তবে এই বাজারে বিক্রি হবে না কোনওরকম শব্দবাজি। এখানে থাকবে কেবল পরিবেশবান্ধব বাজি। সরকারের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে বিক্রেতাদের জন্য। ৬ অক্টোবর লালবাজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়েছে।

ময়দান এর বাজিবাজারে চলতি বছর থাকছে ৫০ টি দোকান। টালার বাজি বাজারে থাকছে ৪৪ টি দোকান। সকল দোকানে কেবলমাত্র গ্রীন বাজি বিক্রি হবে। এবার আসা যাক গ্রীন বাজি চেনার উপায় সম্পর্কে। সবার পক্ষে তো পরিবেশ বান্ধব বাজি চেনা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে গ্রীন বাজিতে কিউআর কোড দেখে নেবেন। চলতি বছর গ্রীন বাজিতে কিউআর কোড রাখার নিয়ম নিয়ে বিতর্ক হয়েছে । অনেক বাজি ব্যবসায়ী মনে করছেন কিউ আর কোড বাধ্যতামূলক হতে পারে না। তবে জানা গিয়েছে প্রত্যেক দোকানেই সরকারি সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত প্রস্তুতকারকদের তালিকা থাকবে। সেই প্রস্তুতকারকদের তৈরি বাজি বৈধ। পুরনো বাক্স ছাপানো থাকলে কেউ বাজির প্যাকেটে সংস্থার নাম বসিয়ে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে নকল জানা যাবে কি করে? উত্তর পাওয়া যায়নি। বাজে

বিক্রেতাদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা মূলক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজি বাজারে প্রত্যেকটি স্টলে অন্তত একটি করে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখতে হবে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে দুটি জল ভর্তি বালতি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বালি ভর্তি বালতি। দোকানের শেড তৈরি করতে হবে অগ্নিনিরোধক উপকরণ দিয়ে। দুটি দোকানের দূরত্ব হতে হবে কমপক্ষে ৩ মিটার। বিপজ্জনকভাবে মুখোমুখি কোন স্টল দেওয়া যাবে না। প্রত্যেক বাজি বিক্রেতাকে দমকল, সিইএসসি, বিদ্যুৎ দফতর এবং ভূমি দফতরের অনুমতি পত্র আগে থেকে নিতে হবে। পুলিশ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের যৌথ দল বাজি বাজার পরিদর্শন করবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে, তুমুল বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

দলের নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলে তৃণমূল নেতা পেলেন খুনের হুমকি !

বারাসতে কালী পুজো নিষিদ্ধ, গ্রামের মানুষকে পুজো দেখতে যেতে হয় কয়েক কিলোমিটার দূরে

রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের ধাঁচে ‘এনকাউন্টার’ চান শুভেন্দু অধিকারী

‘দো ফুল এক মালি’, দুই স্ত্রীকে নিয়ে করবা চৌথ পালন করে চমকে দিলেন আগ্রার বাসিন্দা

সোনামুখীর ‘মা-ই-তো কালী’ পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে বর্গী দস্যু ভাস্কর পণ্ডিতের নাম, জানুন ইতিহাস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ