এই মুহূর্তে




৬০ লক্ষ টাকার বীমার লোভে ভাইয়ের ‘হামশকল’-কে খুন! যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাদার

নিজস্ব প্রতিনিধি: মর্মান্তিক ঘটনা! বীমার ৬০ লক্ষ টাকা হাতানোর জন্যে ভাইয়ের মতো দেখতে এক নিরীহ যুবককে নৃশংসভাবে হত্যা করল এক যুবক। সঙ্গ দিল আরও দুই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে, রাজস্থানের আলওয়ারে। ইতিমধ্যেই আদালত মূল অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বীমার ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য একটি চাঞ্চল্যকর ছক কষেছিল অভিযুক্ত যুবকরা। তাঁদের মধ্যে যিনি মূল অভিযুক্ত, তিনি তাঁর ভাইয়ের ‘হামসকল’-কে খুঁজে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করে জীবন বীমার ৬০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। অবশেষে অভিযোগ প্রমাণের জন্যে অভিযুক্ত অনিল খাত্রিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আলওয়ার আদালত। এবং ২০,০০০ টাকা জরিমানা করেছেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই রায় ঘোষণা করা হয়। ​পুলিশ-আদালতের সূত্র অনুযায়ী, মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিটি তাঁর ভাইয়ের নামে একটি বিশাল অঙ্কের, ৬০ লক্ষ টাকার জীবন বীমা পলিসি করেছিলেন। এরপর তিনি বীমার টাকা পাওয়ার লোভে এক ভয়ংকর পরিকল্পনা করেন।

তিনি তার ভাইয়ের মতো দেখতে এক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করেন এবং তাঁকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে। অভিযুক্তের পরিকল্পনা ছিল, এই খুনের ঘটনাটিকে ভাইয়ের মৃত্যু হিসেবে দেখিয়ে বীমার টাকা তুলে নেওয়া। এমনকী অখিল খাত্রি তাঁর ‘হামসকল’ রামকেশ নামে এক যুবককে হত্যা করার পর তারা ভাইয়ের পরিচয় প্রমাণের জন্য রামকেশের ভোটার আইডি কার্ড সরিয়ে তাঁর আইকার্ড রামকেশের পকেটে রেখে দেন। তবে তাঁর সঙ্গে জড়িত দুই অভিযুক্তকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করা হলেও অনিলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সরকারি আইনজীবী নবনীত তিওয়ারির মতে, অনিলের ভাই সুনীল দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাই অনিল তার এলআইসি পলিসি থেকে ৬০ লক্ষ টাকা দাবি করার জন্য সুনীলকে মৃত ঘোষণার ষড়যন্ত্র করেন। এটি করার জন্য, অনিল তার সহযোগী পবন এবং ইয়াকুবের সঙ্গে সুনীলের মতো দেখতে এক যুবকের সন্ধান করেন। এরপর তাদের অনুসন্ধানের সময়, তারা সালপুরের ২৪ বছর বয়সী রামকেশকে খুঁজে পান, যিনি মহাবীর ধাবায় কাজ করতেন।

তাদের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, অভিযুক্তরা প্রথমে রামকেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর তারা তাকে নতুন পোশাক এবং জুতো কিনে দেয়, তারপর মদ খাওয়ানোর অজুহাতে তাকে একটি বোলেরোতে করে নিয়ে যায়। এরপর একটি নির্জন যাওয়ায় তাঁরা তিনজন মিলে সুনীলের হামসকলকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে, তারা বীমার টাকা দাবি করার জন্য তার ভোটার আইডি কার্ড পকেটে রেখে তাকে সুনীল বলে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে প্রথমে পুলিশ এই মৃত্যুর কুনকিনারা পাচ্ছিলেন না। মৃতদেহটি সুনীলের কিনা, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না পুলিশ। তদন্তে অনিল এবং পবনকে গ্রেফতার করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনিল পুরো অপরাধ স্বীকার করে। এবং পবন এবং ইয়াকুবককে আগেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর শুক্রবার অনিলকে আদালতে হাজির করা হয়, যেখানে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এই ঘটনা পুরো এলাকাকে নাড়িযে দিয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিহারে বিধায়কদের ২১৮ জন কোটিপতি, ১৭০ কোটির সম্পত্তি নিয়ে সবচেয়ে ধনী ইনি

১০ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অপরাধে বিজেপি নেতার আমৃত্যু কারাবাস

শীতের কলকাতাকে ঘুরে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে পরিবহণ দফতর

SBI-তে অ্যাকাউন্ট রয়েছে? সাবধান হোন, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই পরিষেবা

প্রকাশ্যে নয়া সিসিটিভি ফুটেজ, ফরিদাবাদের মোবাইলের দোকানে বসে চিন্তিত উমর, কিন্ত কেন?

করুণ দশা প্রশান্ত কিশোরের, জন সুরাজের ২৩৮ প্রার্থীর মধ্যে ২৩৬ জনের জামানত জব্দ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ