নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রমশই করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের থাবা থেকে মুক্ত হচ্ছে বাংলা। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ শুধু দু’হাজারের গণ্ডির নিচেই নামেনি, গত ৩৩ দিনের মধ্যে সংক্রমণ সর্বনিম্ন। দৈনিক সংক্রমণ ক্রমশ কমলেও কিছুটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দৈনিক মৃত্যু। একদিনে মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। শনাক্তের হারও আগের দিনের তুলনায় কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪ হাজার ৮১৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৪৯ শতাংশে। যার ফলে আরও এক হাজার ৯১০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৫১৬ জনে। দৈনিক সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় কমলেও দৈনিক মৃত্যু সামান্য বেড়েছে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ৬১৯ জন।’
দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে কলকাতাকে পিছনে ফেলে ফের শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাটিতে মারণ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৩ জন আর মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। কলকাতায় সংক্রমণ পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। একদিনে মহানগরীতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। হুগলিতে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১৪১ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৩১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েছেন দুই জন।’
দৈনিক সংক্রমণ যেমন নিম্নমুখী তেমনই সুস্থতার হারও মারণ ভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার আশা জাগাচ্ছে। করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছেন সাত হাজার ৭২৭ জন। এ নিয়ে করোনাকে জয় করলেন ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৮ জন। সুস্থথার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৭ দশমিক ৬৮ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেস কমেছে পাঁচ হাজার ৮৫৩টি। রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ২৫ হাজার ৭০৯ জন।’