নিজস্ব প্রতিনিধি: মোদিকে হারাতে বিজেপি বিরোধী জোটে শান দিতে ময়দানে সোনিয়া। কংগ্রেস নেত্রী চাইছেন দেশের সমস্ত বিরোধী জোট একছাতার তলায় আসুক। তাঁর দলকে বাদ দিয়ে নয় বিজেপির বিরুদ্ধে সবাইকে একসঙ্গে লড়তেই ফের আলোচনায় বসতে চলেছেন সোনিয়া। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে মধ্যমণি করা হতে পারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে দিল্লিতে সোনিয়ার ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে। আগামী ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া আর মণিপুরের ভোটের ফল। সেদিনই স্পষ্ট হয়ে যাবে ওই পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি কতটা বাড়ছে, নাকি গেরুয়া শিবিরের ধাক্কায় জনপ্রিয়তা কমছে। বিশেষ করে নজর রয়েছে গোবলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। তারপরেই দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী নেতাদের নিয়েই ২৪-এর ব্লু প্রিন্ট সাজাতে চাইছেন সোনিয়া।
কংগ্রেস হাইকম্যান্ড বারবার মনে করছে, আঞ্চলিক দলের পক্ষে বিজেপিকে হারানো সহজ নয়। তাই মাথার উপর কংগ্রেসকে রেখে ২৪-এর লড়াইয়ে নামতে চাইছেন সোনিয়া। অবশ্যই যাতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কারণ একুশের নির্বাচনে মোদি-শাহকে ধাক্কা দিয়ে জাতীয় স্তরে এখন জনপ্রিয় মমতা। এর সঙ্গে বাংলার বাইরে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সংগঠন বাড়াচ্ছে তৃণমূল। তাই মোদিকে হারাতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ মমতাই। তাই বিজেপি বিরোধী জোটে মমতাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সোনিয়া। দিন হিসেবে মাথায় রাখ হচ্ছে ১৪ মার্চকে। কারণ, ওইদিন সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। তাই ওই সময়ে সোনিয়া গান্ধির ডাকা বৈঠক রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০২১ সালের ২০ অগস্টে হয়েছিল বিরোধীদের বৈঠক। তবে সেবার তা হয়েছিল ভার্চুয়াল। তবে এবার ওই বৈঠক সশরীরে হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
গতবারের বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, দল নয়। দেশের স্বার্থেই বিজেপি বিরোধীদের একজোট হতে হবে। সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব রেখেছিলেন কয়েকটি দলের নেতানেত্রীকে নিয়ে কোর গ্রুপ তৈরি পরামর্শ দিয়েছিলেন। যা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। মাঝে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বেড়েছে। দুই দলের একাধিক নেতা-নেত্রীদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়েছে। কিন্তু সোনিয়া মোদিকে হঠাতে মমতাকেই পাশে চাইছেন। তাই বিজেপি বিরোধী দলের বৈঠকে তৃণমূল নেত্রীকেও ডাকছেন সোনিয়া।