নিজস্ব প্রতিনিধি: দোকানে ডিম কিনতে গিয়েছিল, গিয়েই যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হল সাত বছরের শিশুর। এমনটাই অভিযোগ। অন্যদিকে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রৌঢ় দোকানদার। দোলের দিন ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার তারকেশ্বরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির পাশের দোকানে ডিম কিনতে গিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। এরপর তাকে দোকানে ঢুকিয়ে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে ওই দোকানদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ওই প্রৌঢ় দোকানদারের নাম গৌর মাল। নির্যাতিত শিশুটির শরীরের একাধিক জায়গায় কাটাছেঁড়ার দাগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই অভিযুক্ত নিজের ‘দোষ’ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত ওই প্রৌঢ় দোকানদার জানান, ‘‘নেশার ঘোরে করে ফেলেছি!’’ শিশুটিকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তার পরিবার। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত ওই পৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গৌড় মাল একটি মুদিখানা দোকান চালান। দোলের দিন দুপুরে বাড়ির দুপুরের খাবারের জন্য মেয়েকে ডিম কিনতে পাঠায় পরিবার। বছর সাতেকের মেয়েটি যখন ওই দোকানে যায়, তখন মদ খেয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন ওই দোকানদার। শিশুটিকে চিপস দেওয়ার কথা বলে দোকানের ভিতরে ডাকেন ওই পৌঢ়। আর এরপর তার উপর যৌন নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শিশুটির মায়ের নজরে পড়ে যে তাঁর মেয়ের শরীরে কাটা ছেঁড়া দাগ। প্রথমে ভয়ে সে কিছু বলতে পারেনি, এরপর মেয়েকে জোরাজুরি করতে মায়ের কাছে পুরো ঘটনার কথা জানায় শিশুটি। এই ঘটনা জানার পর শিশুটির পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। ওইদিন রাতেই তারকেশ্বর থানায় অভিযোগ জানায় তার পরিবার। এরপর পুলিশ এসে গ্রেফতার করে গৌর মালকে। শনিবার অভিযুক্তকে চন্দননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।