নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুলিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে চিতাবাঘ! তাও আবার জোড়া! ঝাড়খণ্ড লাগোয়া পুরুলিয়ার কোটশিলা বনাঞ্চলের ঘটনা। বনদফতরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসীরা। এলাকায় নিখোঁজ হচ্ছে গবাদী পশুও। তৎপর বনদফতর।
কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটের জঙ্গলে ধরা পড়েছে চিতা বাঘের (Leopard) ছবি। দেখা যাচ্ছে, রাতে এক গবাদি পশুর পাশেই মুখ নিচু করে রয়েছে চিতাবাঘ। এই রকমই ছবি ধরা পড়েছিল ২ মাস আগে। তবে ২ চিতা বাঘ একই কি না, তা নিয়ে রয়েছে রহস্য। বনদফতরের অনুমান, ২ টি চিতা বাঘ আলাদা। তবে এলাকায় ২ টি চিতাবাঘ! বনদফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই জঙ্গলে চিতাবাঘ থাকতেই পারে। ট্র্যাপ ক্যামেরায় যে চিতা বাঘের ছবি ধরা পড়েছে, তা সম্ভবত স্ত্রী চিতা। জানানো হয়েছে, তৎপর বনবিভাগ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ মাসে একটি বাঘ সহ তার শাবককে দেখেছিলেন মহিলা। বাঘের চোখে ধরা পড়ার আগেই পালিয়ে আসেন তিনি। সেই খবর জানিয়েছিলেন, স্থানীয় বন আধিকারিক ও কর্মীদের। তারপরেই ঠিক হয়েছিল বসানো হবে ক্যামেরা। তা আনানোও হয়েছিল। তবে, জঙ্গলে পরপর ঘটছে আগুন লাগার ঘটনা। তাই ক্যামেরা লাগানো সম্ভব হয়ে ওঠেনি, লোকসানের আশঙ্কায়। অনুমান, পাহাড়তলির বনাঞ্চলে বাঘ তবে সপরিবারে সংসার পেতেছে এই জঙ্গলে!
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে এই অঞ্চলে দেখা মিলেছিল চিতার। তারিখ টা ২০ জুন। তাকে পিটিয়ে মেরেছিল স্থানীয়রা। তারপর এলাকা তথা জেলা জুড়ে চলেছিল বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে জোরদার প্রচার। তাতে মিলেছিল সাড়াও। তারপর ২০২১ সালে স্থানীয় মহিলা শাবক সহ দেখতে পান বাঘ। এলাকায় প্রায় দিন প্রায় ২ বছর ধরে নিখোঁজ হচ্ছে গরু, ছাগল। যেখানে সেখানে মিলছে দেহাবশেষ। তা নিয়ে আতঙ্কে এলাকাবাসী। এরপর গত ২০ এপ্রিল এই অঞ্চলে গবাদি প্সহু শিকারের খবর আসে বনদফতরের কাছে। তারপর ওই এলাকায় লাগানো হয় ৩ টি ট্র্যাপ ক্যামেরা। ২২ এপ্রিল দেখা যায়, ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিট নাগাদ ওই স্থানে আসে ১ টি চিতাবাঘ। এর আগে চলতি বছরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টা ৫১ নাগাদ চিতাবাঘের ছবি ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়। তার মানে ২ টি চিতাবাঘ! আছে শাবকও! পুরুলিয়া অরণ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অরণ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে ২০ এপ্রিলে ধরা পড়া বাঘের ছবি।
অন্যদিকে, কর্ণগড়ের ১০ নম্বর অঞ্চলে বৃহস্পতিবার সকালে দেখা মেলে এক পূর্ণ বয়স্ক চিতল হরিণের (Deer)। স্থানীয়রা খবর দেন মেদিনীপুর বনবিভাগের ভাদুতলা রেঞ্জ অফিসে। সেই হরিণকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনবিভাগ। সূত্রের খবর, এই চিতল হরিণটিকে রাখা হতে পারে ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্কে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসা করা হচ্ছে হরিণটির।