নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকার বিজয়গড়ে একটি গ্রিলের কারখানা ছিল ব্যবসায়ী দেবীপ্রসাদ আইচের। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে ব্যবসায় ভাটা। আর্থিক অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় প্রচুর ধার দেনা হয়ে যায়। সেই ঋণের বোঝা কমানোর আশায় বিক্রি করে দিয়েছিলেন গয়নাগাটি। এরমধ্যে ছিল ঠাকুরের গয়নাও। যা কোনও মতেই মেনে নিতে পারেন নি প্রৌঢ় ব্যবসায়ী। পঞ্চমীর রাতেই নিজের ঘরে আত্মঘাতী হলেন তিনি। যদিও পরিবারের দাবি, পাওনাদাররা তাঁকে টাকা ফেরানোর চাপ দিচ্ছিলেন। এমনকি হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল।
ব্যবসায়ী দেবীপ্রসাদ আইচের পরিবার দাবি করেছেন, পাওনাদারদের চাপে কয়েকদিন আগেই বাড়ির কুলদেবতার গয়না খুলে বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। যা দিয়ে ঋণের একটি অংশ শোধ করেন। কিন্তু বিষয়টি মন থেকে মেনে নিতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। রবিবার পঞ্চমীর রাতে নিজের ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। দেবীপ্রসাদবাবু। অনেক রাতেও সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের। দরজা ভেঙে তাঁরা দেখেন গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন ওই প্রৌঢ়। খবর যায় পুলিশে, তাঁরা এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।