নিজস্ব প্রতিনিধি: ত্রিকোণ সম্পর্কের (Affair) জেরে মর্মান্তিক পরিণতি। ত্রিকোণ সম্পর্ক নিয়ে পারিবারিক অশান্তি লেগেই ছিল। কিন্তু স্বামীর চোখের সামনে পড়ে যান স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। তারপরেই মর্মান্তিক পরিণতি। ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ত্রিকোণ সম্পর্ক নিয়ে লেগে ছিল অশান্তি। এরপর বাপের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর দেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। মৃতার পরিবারের সদস্যদের দাবি, শ্বশুরবাড়ির অশান্তির কারণেই আত্মঘাতী মেয়ে। জানা গিয়েছে, মৃতার বাপের বাড়ি ভাতারের ঢেড়িয়া গ্রামে। তাঁর বিয়ে হয়েছিল ৭ বছর আগে। বলগোনা গ্রামের রক্ষা দাসের ছেলে বিজয় দাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিজয়এর পেশা মজুরি। আত্মহত্যাকারী গৃহবধূ সীমা দাস (২৪)। বিজয় ও সীমার ২ টি কন্যা সন্তান রয়েছে। দুই এলাকার স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশান্তির জেরে বুধবার বাপের বাড়িতে আসেন সীমা। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই দিয়ে আসেন বাপের বাড়িতে। এরপর শনিবার ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় সীমার দেহ। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) বলে ঘোষণা করেন।
মৃতার স্বামীর জামাইবাবু অনুপ দাস। তাঁর অভিযোগ, সীমার সঙ্গে বলগোনার এক যুবকের সম্পর্ক ছিল সীমার। এই পরকীয়া প্রায় ৪ বছরের। তাঁদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন বিজয়। তারপর সীমাকে বাপের বাড়িতে দিয়ে আসা হয়। অনুপের দাবি, পরকীয়ার সম্পর্ক আগেও একবার জানা গিয়েছিল। তখন বসেছিল মীমাংসা সভাও। তারপর ফের আপত্তিকর অবস্থায় সীমা ও ওই ছেলেকে দেখে ফেলে বিজয়। তারপরে আর কিছু না বলে সীমাকে তাঁর বাপের বাড়ি দিয়ে আসা হয়।
এদিকে মৃতার বাবা পল্টু দাসের দাবি, তাঁর মেয়ের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি রুবু দাস বধূ নির্যাতন করতেন এবং আত্মহত্যায় (Suicide) প্ররোচনা দিয়েছিল। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগও (FIR) দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বিজয় মদ্যপ থাকতেন এবং স্ত্রীকে অযথা সন্দেহ করতেন। তারপর মারধর করে বাড়িতে দিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের (Police) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।