নিজস্ব প্রতিনিধি: সারাবছর চূড়ান্ত ব্যস্ততা। কাজের চাপে দম ফেলার সময় নেই। শো, নানা অনুষ্ঠান, শ্যুটিং, বিজ্ঞাপন কিন্তু পুজোর কটাদিন আনন্দে ও একটু হাল্কা মুডে কাটাতে চান প্রত্যেক তারকাই। কেউ কেউ আবার পুজোতেই বাইরে চলে যান বেড়াতে মুড ফ্রেশের জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ তারকার পছন্দ কলকাতাই। কারণ বাঙালি তো, তাই অনেক তারকার পছন্দ কলকাতাই। তাই পুজোর এই চারটে দিন কাজের মাঝেও হুল্লোড় ও আনন্দের সঙ্গেই কাটাতে ভালোবাসেন সকল তারকাই। যদিও পুজোতে প্ল্যান করে কিছু করতে অভ্যস্ত নন সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। রয়েছে কাজ, এর মাঝেই ২০২১-এর দুর্গাপুজো উপভোগ করবেন সায়ন্তনী।
ফোনের ওপার থেকেই এই মুহূর্তকে জানালেন নিজের পুজোর প্ল্যান। ‘সেভাবে কিছুই প্ল্যান থাকে না। একটা বাড়ির পুজো রয়েছে সেখানে অষ্টমীর পুজো দেব। আমি জানি প্রতিবছর একইভাবে কাটে। দশমীর দিন শোভাবাজারের কুণ্ডু বাড়ির ভাসানে নাচ করব। বাকি দিনগুলোতে ইন্ডাস্ট্রির ক্লোজ বন্ধু যারা ওম, মিমি, দেবপর্ণা এদের সঙ্গে দেখা করব সেই প্ল্যান রয়েছে। এছাড়াও আড্ডা দেব একদিন মা ও বন্ধুদের নিয়ে।’ পুজোতে পোশাক পরা নিয়ে একটা নির্দিষ্ট প্ল্যান থাকেই সায়ন্তনীর। সেই রীতি মেনেই দুর্গাপুজো কাটান তিনি। সায়ন্তনী জানিয়েছেন, ‘মূলত এথনিক লুকটাই পুজোতে বেশি পরতে পছন্দ করি আমি। পঞ্চমী থেকেই সেই জামা পরা শুরু হয়েছে। পুজোয় প্রচুর শাড়ি পেয়েছি। এবছরে কেনাকাটা করা হয়নি সেভাবে। করোনার জন্য পুজো কতটা প্রানোচ্ছল হবে বুঝে উঠতেই পারিনি। তবে ইচ্ছা রয়েছে একদিন দুর্গাবাড়ি যাব, ম্যাডক্স স্কোয়ার যাব। বাইরে থেকে কিছু বন্ধুরা আছে তাদের কলকাতার পুজো দেখাব।’
খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কোনও বাধা মানেন না সায়ন্তনী। ডায়েটের তো কথাই ভুলে যান পুজোতে। সায়ন্তনী জানিয়েছেন, ‘পুজোতে বাইরে দেদার খাব। এগরোল, ফুচকা কিছুই বাদ দেব না। এছাড়াও প্রতিবছরের মত এবছরেও আমাদের পুজো পরিক্রমা রয়েছে দুটো সংস্থার হয়ে। সেখানেই ঠাকুর দেখা হয়ে যাবে আমার। প্রতিবছর যেভাবেই পুজো কাটার এবারেও সেইভাবেই কাটবে।