নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: একজনের বয়স মাত্র আট বছর।দ্বিতীয়জনের বয়স একটু বেশি, নয় বছর। দুইভাই এক স্কুলের ছাত্র। আলমারির ভিতরে রাখা টাকা থেকে দুই ভাই প্রতিদিন অল্প-অল্প করে পাঁচশো টাকার নোট গায়েব করতে শুরু করে। আর যে কটি নোট তারা সরিয়েছে, ঠিক সে কটি জাল নোট আসল নোটের তলায় রেখে আবার আলমারি বন্ধ করে নিজের কাজে ব্যস্ত।
এইভাবে চুরি করে একদিন দেখে তাদের হাতে রয়েছে চার লক্ষ টাকা। সেই টাকা দিয়ে দুই ভাই মিলে সিনেমা দেখেছে, ঘড়ি কিনেছে। কিনেছে মোবাইল। অনলাইনে গেম খেলেছে। দুই ছেলের অস্বাভাবিক পরিবর্তন নজড়ে পরে বাবার। কোনও কারণে সে আলমারি খুলে ওই পাঁচশো টাকার নোটের বান্ডিল হাতে নিয়ে দেখে প্রত্যেকটা নোট জাল। চুরি হয়েছে সন্দেহে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছয়। ওই দুই ক্ষুদের আচার-আচরণ দেখে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তাদের প্রশ্ন করে। প্রথমে তারা স্বীকার করতে অস্বীকার করে। শেষ পর্যন্ত থানায় নিয়ে আটকে রাখার ভয় দেখালে তারা তাদের কুকীর্তির কথা শিকার করে নেয়।
এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের জিদিমেতলায়। দুই ক্ষুদের এই কীর্তির কথা জানাতে গিয়ে জিদিমেতলার পুলিশ ইন্সপেক্টর কে বলরাজ জানিয়েছেন, ‘শিব শঙ্করের ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। দুই ছেলে লক্ষ্য করেছিল বাবা টাকা কোথায় রাখে। এই দুই বন্ধুদের বিষয়টি জানালে বন্ধুরা তাদের হাত সাফাইয়ের পরামর্শ দেয়। কী করে টাকা সরাতে হবে, সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়।টাকা সরিয়ে দুজনে মিলে দেদার ফূর্তি করেছে। পুলিশ তদন্ত করছে।