এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নিজ ঘরেই কোনঠাসা কৃষ্ণ, পড়লেন বয়কটের মুখে

নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি(BJP) জিতেছিল মোট ৭৭টি আসনে। পরে তা কমে দাঁড়ায় ৭৫। এখনও পর্যন্ত খাতায় কলমে সেই হিসাবই রয়েছে। কিন্তু সেই নির্বাচনের পরে বেশ কিছু বিজেপি বিধায়ক চলে এসেছেন তৃণমূলে(TMC)। যদিও তাঁরা বিধানসভায় তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলেন। কিন্তু বিধান্সভার বাইরে তাঁরা যেমন বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে যোগ দেন না তেমনি তৃণমূলের কিছু কিছু অনুষ্ঠানে বেশ মুখও দেখান। এদের মধ্যেই রয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী(Krishna Kalyani)। বিজেপির এই বিধায়ককে ঘিরে এখন বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজনীতি। কেননা স্থানীয় তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার তাঁকে বয়কট করার ডাকও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, বিষয়টি নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

কৃষ্ণ আগে তৃণমূলেই ছিলেন। একুশের নির্বাচনের আগে দলবদলে পা রাখেন বিজেপিতে। তার জেরে ভোটের টিকিটও পেয়ে যান। ভোটে জেতার কয়েকমাসের মধ্যেই ফের ফিরে আসেন তিনি তৃণমূলে। যদিও খাতায়কলমে এখনও তিনি বিজেপিরই বিধায়ক। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। এই অবস্থায় তাঁর সঙ্গে রায়গঞ্জের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের জোর বিরোধ লেগেছে। সেই বিরোধ কার্যত তুঙ্গে উঠেছে রায়গঞ্জের পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনায়। রায়গঞ্জ(Raiganj) ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে সম্প্রতি হুইপ জারি করেন কৃষ্ণ। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের জেরে গত ২৭ মে ক্ষব্ধ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা সমিতির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর জেরে পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রয়োজনীয় কাজে আসা সাধারণ মানুষ হয়রানির মুখে পড়েন। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য মঙ্গলবার জেলা তৃণমূল সভাপতি ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠক শেষে পঞ্চায়েত সমিতির তালা খুলিয়েও দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল অগ্রওয়াল।

কিন্তু এদিনের বৈঠকেই রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস ঘোষ কৃষ্ণকে বয়কটয় করার ডাক দেন। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘পঞ্চায়েত সমিতি স্বায়ত্তশাসিত। এখানে বিধায়কের হুইপ জারির করার ক্ষমতা নেই। তারপরেও তিনি কীভাবে তা করলেন? যে বিধায়ক এখনও বিধানসভায় তৃণমূল সদস্যদের আসনে বসতে পারেন না, তাঁকে এখনও বিজেপি বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট আসনে বসতে হয়, তাঁর পরামর্শে পঞ্চায়েত সমিতি চলবে, এমন হতে পারে না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবে গত চার বছর ধরে সুষ্ঠু ভাবে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনা করছি। তিনি নিজে কোথায় থাকবেন, আগে তা স্থির করুন। রায়গঞ্জের কোনও কর্মসূচিতে এই বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। রায়গঞ্জের বিধায়ককে আমরা বয়কট করছি।’ যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানাইয়ালাল অগ্রওয়াল জানিয়েছেন, ‘বিধানসভা অধিবেশন নিয়ে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ব্যস্ত রয়েছেন। সে জন্য তাঁকে ছাড়াই আমরা দলগত ভাবে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। আপাতত জনগণের সুবিধার জন্য পঞ্চায়েত সমিতি খুলে দেওয়া হল। বিধায়ক ফিরলে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা করে সকলের মতান্তর কাটিয়ে তোলা হবে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

এবার দু ‘লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব নির্বাচনে : কাকলি ঘোষ দস্তিদার

‘সিপিএম কিনলে কংগ্রেস ফ্রি, কংগ্রেস কিনলে সিপিএম ফ্রি’, দাবি মমতার

‘মানুষ কাঁদছে, বিজেপি হারছে, বুক দুরুদুরু করছে’, দাবি মমতার

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর