এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

চট্টগ্রামের হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৮৩, মামলা দায়ের ৫০০ জনের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জুড়ে ক্ষমার অযোগ্য অত্যাচার চালাচ্ছে মৌলবাদিরা। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বড় হামলা চালানো হয় চট্টগ্রামে। সেখানকার জেএম সেন হলের পূজা মণ্ডপে গত শুক্রবার হামলা চালায় মৌলবাদিরা। সেই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে ও বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের তরফে সোচ্চার হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শনিবার বাংলাদেশের কোতোয়ালী থানায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেন। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ৮৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে এই হামলার ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক মো. নেজামউদ্দিন জানিয়েছেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৮৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতার ৮৩ জনকে আদালতের নির্দেশে জেলে পাঠানো হয়েছে।’ শনিবার বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ও চট্টগ্রামে হরতাল পালনের কথা বলা হয়। কিন্তু সেই পথে না গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ধিক্কার জানান বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। তিনি জানান, ‘গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে যে মন্দির ভাঙচুর ও হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের ঘটনাঘটে চলেছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে আজ আর উড়িয়ে দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সবটাই পরিকল্পিত, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে বিতারণ করে পুরো দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করা।’

শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত ক্ষুব্ধ কণ্ঠে জানান, ‘করোনার অতিমারী পরিস্থিতিতে গত বছর সারাদেশে দুর্গোৎসব উদযাপিত না হলেও আমরা আশা করেছিলাম এবারের সংক্রমণ যখন সহনীয় পর্যায়ে তখন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দুর্গাপূজার আয়োজন করলে তা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উৎসবে পরিণত হবে। কিন্তু সব আনন্দ ম্লান হয়ে যায় মহাষ্টমীর দিন ১৩ অক্টোবর সকাল ১১টায়। ভেঙে দেওয়া হয় কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির উত্তর পাড়ে দর্পণ সঙ্ঘের অস্থায়ী পুজোমণ্ডপ। চানমনি কালিবাড়ির বিগ্রহ ভাঙচুরের পাশাপাশি ১৭টি পুজোমণ্ডপের তোরণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’ গোটা দুর্গাপুজোতে বাংলাদেশে মৌলবাদিদের এই হামলার বিষয়ে শুধুই গ্রেফতারি ও উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার কথা বলেই খালাস হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের পথে না হাঁটায় ক্ষুদ্ধ সকলেই।

হাতিয়া, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেটের জকিগঞ্জ, ভোলার নবীনগর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল, নাপোড়া, কক্সবাজার পেকুয়া উপজেলা শীলখালী, বান্দরবানের লামা উপজেলার লামাবাজার, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, চৌমুহনী সহ একাধিক জায়গায় এইধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধু মন্দিরে হামলাই নয়, হিন্দুদের বাড়িঘর ও দোকানেও হামলা চালানো হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পাকিস্তানের নেতা পাকিস্তানের সংসদে দাঁড়িয়ে প্যাঁক মারলেন পাকিস্তানকেই

ইন্দোনেশিয়ায় ফের আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত, জারি সতর্কতা

‘আমি তাঁর নামটা জানতে চাই’, শাকিব খানের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে বিস্ফোরক শবনম বুবলী

এক মাসের মধ্যে ফের সার্ভার ডাউন এক্স হ্যান্ডেলে

প্রয়াত বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী মারিয়া ফেলিসিয়ানা

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই উঠল খলিস্তান রাষ্ট্রের পক্ষে শ্লোগান

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর