নিজস্ব প্রতিনিধি: চলছিল বচসা। অভিযোগ প্রায়দিনই গালিগালাজ করেন এলাকার এক যুবক। বেশিরভাগ সময় থাকেন মদ্যপ। ক্রমাগত গালিগালাজ দেওয়ার প্রতিবাদ করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৬০ এর কিছু বেশি। তা থেকেই শুরু হয় বচসা। এরপরেই হঠাৎ করে ওই ব্যক্তির অণ্ডকোষ ধরে টান মারেন অভিযুক্ত যুবক। অভিযুক্তের নাম লিটন সিং। পায়রাডাঙার বেলঘরিয়ার ঘটনা। তখন সময় প্রায় রাত্রি ১০ টা।
অভিযোগ, প্রায়দিন মদ্যপ (DRUNK) অবস্থায় গালিগালাজ করতে থাকেন লিটন। মদ্যপ না হলেও সমানতালে চলতে থাকে গালিগালাজ। এলাকার কেউই রেহাই পান না। প্রতিনিয়ত ঝামেলা করেন লিটন। এরই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি। অভিযোগ, বচসা চলতে চলতে হঠাৎ করে হাতে ও বুকে মারধর করতে থাকেন যুবক। হঠাৎ করে টান মারেন প্রতিবাদকারীর অন্ডকোষে। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন আক্রান্ত। প্রতিবাদকারী যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন রানাঘাট হাসপাতালে (HOSPITAL)। আক্রমণকারী যুবক আক্রান্তের প্রতিবেশী।
আক্রান্ত জানান, বাড়ি থেকে সামান্য দূরেই থাকেন তাঁর ভাইপো। রাত্রি তীব্র চিৎকার শুনে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন। দেখতে পান, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজির পাশাপাশি তাঁর ভাইপোর ঘরের দরজায় লাথি মারছেন যুবক। ক্রমাগত বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার হুমকি দিচ্ছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর মা। আক্রান্ত আরো বলেন, ওঁর মা কে বলেছিলেন ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যেতে। এতেই রেগে গিয়ে গলায় ধাক্কা মেরে মারধর ও কামড়ানো শুরু করেন। আর তারপরেই টান মারেন অন্ডকোষে।
এই ঘটনায় এলাকায় জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ ওই যুবকের প্রতি।