নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সুরের সম্রাটের আজ জন্মদিন। বাবা শচীন দেব বর্মন ও মা মীরা দেব বর্মণের কাছে ছোটবেলাতেই রাহুল দেব বর্মনের সুরের পাঠ শুরু হয়। আর সেই সুরের জাদুতে কয়েক দশক আচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন সকলকে। ছিলেন উস্তাদ আলি আকবর খাঁ ও আশিস খানের যোগ্য শিষ্য। বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে অসংখ্য গানের সুর দিয়েছেন তিনি। আজ তাঁর ৮১তম জন্মবার্ষিকী। দেখে নিন তাঁর জনপ্রিয় ১০ গানের তালিকা।
‘মনে পড়ে রুবি রায়’, শচীন ভৌমিকের কথায় এই গানে সুর দিয়েছিলেন রাহুল দেব বর্মন। আজও এই গান সকলের মুখে মুখে ফেরে।
‘বলো কী আছে গো তোমারই আঁখিতে’, রাহুল দেব বর্মনের বহু গানের মধ্যে একটি অন্যতম।
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায় আর ডি বর্মনের গায়কীতে ‘যেতে যেতে পথে হল দেরি’ হিন্দি ভার্সনটির মতই সকলের কাছে জনপ্রিয়।
আর ডি বর্মনের সুরে আশা ভোঁশলে ও কিশোর কুমারের কন্ঠে ‘রাজকুমারি’ ছবির গান ‘বন্ধ দ্বারের অন্ধকারে থাকব না’। উত্তম পাগল দর্শককে ত বটেই সঙ্গে রাহুলদেব বর্মনের ফ্যানেদের কাছেও যথেষ্ট জনপ্রিয়।
শচীন ভৌমিকের কথায় রাহুল দেব বর্মনের সুরে ‘তোমাতে আমাতে দেখা হয়েছিল’ আজও বাংলা গানের মধ্যে সেরা এক গান।
‘পিয়া তু আভ তো আজা’ আর ডি বর্মণ, আশা ভোঁশলে ও হেলেন এই তিনজনের জাদু দেখা এবং শোনা যায় এই গানের মাধ্যমে। সত্তরের দশকে পশ্চিমী ধাঁচের এই গান আজ জাদু ছড়ায় প্রত্যেকের মনে।
ভার্সাটাইল শিল্পী কাকে বলে তা আর ডি বর্মনের গান শুনলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। তেমনি একটি গান হল ‘আঁধি’ ছবির ‘তুম আ গ্যায়ে হো’ গানটি।
১৯৭৩ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘ইয়াদো কি বারাত’ ছবির চুরা লিয়া হ্যায় তুমনে জো দিলকো’ গানটি আজও মুখে মুখে ফেরে সকলের। আশা ভোঁশলে ও মহম্মদ রফির যুগলবন্দী ও আর ডি বর্মনের সুর এই গানকে অসাধারণ করে তুলেছে সকলের সামনে।
আর ডি বর্মনের সুরে কিশোর কুমারের কন্ঠে ‘রিম ঝিম গিরে সাওয়ান’ আজও বৃষ্টিতে প্রেমের থিম সং।
১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি মাসুম এর গান ‘তুঝসে নারাজ নেহি জিন্দেগি’ এত বছর পরেও সমান হিট। লতা মঙ্গেশকরের গলায় আর ডি বর্মনের সুরে গুলজার সাহাবের কথায় এই গান আজও নস্টালজিক করে গানপাগল মানুষকে।